পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. হান্নান খানের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক এসএম শামসুদ্দিনকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ শুক্রবার উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ গৈয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুমার নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক এসএম শামসুদ্দিন জানান, তিনি বিদ্যালয় কক্ষে বসে উপবৃত্তির তালিকা করছিলেন। এ সময় হান্নান খান এসে স্কুলের অপর ভবনের একটি কক্ষে (সভাপতির ভাই হামিদ খান দখল করে ঘুমান) মূল ভবন থেকে সাইড কানেকশন দিতে বলেন।
তখন প্রধান শিক্ষক তাকে ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন দিতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে গালাগাল পরে চেয়ার দিয়ে আঘাত করেন। হাত দিয়ে চেয়ার ঠেকাতে গেলে বাম হাতের তালু গুরুতর জখম হয়।
এ ঘটনায় ওই প্রধান শিক্ষকের ভাই এসএম ফকর উদ্দিন শুক্রবার রাতে কলাপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মো. হান্নান খান দাবি করেন, তিনি ওই শিক্ষকের সঙ্গে একত্রে মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন। তখন প্রধান শিক্ষকের একটি কথায় মুসল্লিদের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নামাজের পর এ বিষয়ে লাইব্রেরিতে গিয়ে কথা বলতে গেলে প্রধান শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে লাইব্রেরি কক্ষ আটকে একটি চেয়ার নিয়ে তাকে আঘাত করতে যান।
আরও পড়ুন- যশোরে কারাগারে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু
তখন আরেকটি চেয়ার নিয়ে ফেরাতে গেলে কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হন প্রধান শিক্ষক। নিজের কারণে এ পরিস্থিতি হয়েছে বলেও দাবি করেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. হান্নান খান।
তবে ফকর উদ্দিন জানান, নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির মাহমুদ সালিশ বিচারের ভার নিয়েছেন।