বান্দরবান শহরে স্বপ্নপুরী শপিং মলের মালিক কে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করায় বিজয় টিভি এবং দেশ সমাচার পত্রিকার বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি রিমন পালিতকে প্রকাশ্যে রাস্তায় লাঞ্ছিত ও হামলার চেষ্টা করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লকডাউনে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও দোকানের শাটার বন্ধ করে ভিতরে বেচাকেনা করার সময় হাতেনাতে ধরে ভ্রাম্যমান আদালত। আর এ ঘটনার জের ধরে সাংবাদিক রিমন পালিতকে হামলার চেষ্টা করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিপণি বিতান খোলা রাখায় স্বপ্নপুরী শপিং মলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে একই অপরাধে বালাঘাটা বাজারের তিনটি দোকানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত স্বপ্নপুরী শপিং মলকে জরিমানা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবান কেএসপ্রু মার্কেটের সামনে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় রিমন পালিতের শার্টের কলার ধরে জনসম্মুখে অশালীন ভাষায় গালাগালি করে তার ওপরে হামলা চালান স্বপ্নপুরীর মালিক খোরশেদ গংরা। এসয় স্বপ্নপুরীর মালিক অশালীন ভাষায় গালাগালি করে বলে “তোরা সাংবাদিকদের কারণে আমাদের জরিমানা দিতে হয়েছে। তোদের কারণে আমরা ব্যবসা করতে পারছিনা”। এসময় তার সাথে থাকা কিছু শৃঙ্খল যুবক সংবাদকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ বিষয়ে বিজয় টিভি এবং দেশ সমাচারের জেলা প্রতিনিধি রিমন পালিত বলেন, সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করার করার সময় ভিডিও ও ছবি ধারণ করার পর দুপুরের আমি বান্দরবান বাজারের প্রধান সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় স্বপ্নপুরীর মালিক খোরশেদ এর নেতৃত্বে কিছু যুবক আমাকে শার্টের কলার ধরে অশালীন ভাষায় গালাগালি করে আমার উপর হামলা চালায়। প্রশাসনের কাছে আমি এর বিচার চাই।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বান্দরবান জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহলসহ বান্দরবান বাসী ও সংবাদকর্মীরা।
এ ব্যাপারে বান্দরবানের প্রশাসক দাউদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মার্কেটে কাপড় ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের আইন ভঙ্গ করে নিয়ম নীতি অনুসরণ না করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় প্রথমত তারা অপরাধ করেছে । জনগণের নিরাপত্তার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে কিন্তু এই নিউজ কাভার করাতে সাংবাদিকের উপর যারা আক্রমণ চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন-বান্দরবানে সেনা বাহিনীর এক মিনিটের বাজার