শীর্ষে সয়াবিন উৎপাদনে লক্ষ্মীপুর

soybean
soybean

দেশে উৎপাদিত সয়াবিনের মধ্যে লক্ষ্মীপুরে উৎপাদিত হয় প্রায় ৮০ ভাগ। বেলে-দোআঁশ মাটি হওয়ায় এ অঞ্চল সয়াবিন চাষের জন্য উপযোগী। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম এক হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সয়াবিনের চাষ শুরু হয়। কিন্তু সয়াবিন আবাদে কারিগরি সহযোগিতা না পাওয়ায় ১০ বছরেও তেমন কোনো সফলতা পাননি এ অঞ্চলের কৃষক। পরে ১৯৯২ সালে এমসিসি ও ডর্প নামক দুটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কৃষককে সয়াবিন চাষে উদ্বুদ্ধ করে। এতে কিছু কৃষক সয়াবিন চাষ করে লাভবান হওয়ায় ধীরে ধীরে এ জেলায় সয়াবিনের আবাদ বৃদ্ধি পেতে থাকে।

অল্প পুঁজিতে কম সময়ে অধিক টাকার ফলন পাওয়ায় এ অঞ্চলের সয়াবিন চাষিরা সয়াবিনকে সোনার ফসল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কৃষকদের আগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রাও প্রতিবছর ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের মধ্যেও জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ করা হয়, যেখানে উৎপাদিত হয় এক লাখ টনেরও বেশি সয়াবিন এবং এর বাজারমূল্য ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।

তবে লক্ষ্মীপুরে সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা করাসহ সয়াজাত দ্রব্যাদি তৈরির জন্য কারখানা স্থাপন করা প্রয়োজন। এছাড়া ইউরিয়া সারের পরিবর্তে বায়ো-ফার্টিলাইজার (ইনোকুলাম) ব্যবহার করলে সরকারের ভর্তুকিসহ বছরে প্রায় চার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।