২০২১ সালে পবিত্র হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারা বছর চালু থাকবে। ‘আগামী বছর হজে যাওয়ার জন্য প্রাক-নিবন্ধনের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০’ শিরোনামে যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ খবর। এতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের হজের জন্য প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারা বছর চালু থাকবে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।
বিশ্বব্যাপী করোন সংকটের কারণে এ বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। তবে অনেকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করে রেখেছিলেন হজে যাওয়ার জন্য। এর মধ্যে অল্পকিছু ব্যক্তি তাদের টাকা ফেরত নিয়ে নিবন্ধন বাতিল করেছেন। বাকিরা আগামী বছর হজে যেতে পরিকল্পনা নিয়েছেন।
সূত্র জানায়, যেসব হজযাত্রী টাকা উত্তোলন করেননি তারা আগামী বছর হজ পালনে অগ্রাধিকার পাবেন। আর যারা টাকা উত্তোলন করে ফেলেছেন তাদের আগামী বছর হজে যেতে নতুন করে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন ।
এ পর্যন্ত এক লাখ ৬২ হাজার ৩২০ জন হজের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৩৬০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৬০ জন। বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে এ বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। তবে অনেকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করে রেখেছিলেন।
বর্তমানে মোট ৬২ হাজার ৩১০ জনের চূড়ান্ত নিবন্ধন রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ১০৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৯ হাজার ২১০ জন।
করোনার করনে চলতি বছরের (২০২০) হজ কার্যক্রমে সৌদি আরবে অবস্থানরত মুসলিম ছাড়া অন্য কোনো দেশের কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তাই এবার খুবই সীমিতসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে হজ পালিত হয়। এখনও ওমরাহ কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে আগামী বছরের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন-এমন প্রত্যাশা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই।
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চলতি বছরের চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার কোটা নির্ধারিত ছিল। এর ভিতরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত ছিল।
আরো পড়ুন- করোনায় এবারের হজ