জেনে নিন পিয়াজের উপকার ও অপকারিতা

পেয়াজ

দাম বাড়ায় পিয়াজ নিয়ে চলছে যত বাড়াবাড়ি। কেউ বলছেন পিয়াজ খাবো, আবার কেউ বলছেন পিয়াজ ছাড়াই হবে রান্না। পিয়াজ রান্নার কোন অপরিহার্য উপাদান নয়। অথবা পিয়াজ এমন কোন খাবার নয় যে না খেলে পুষ্টি ব্যহত হবে। সাধারণত রান্নাকে সুস্বাদু করার জন্যই বছরের পর বছর ধরে রান্নায় পিয়াজ ব্যবহার হয়ে আসছে। 

প্রতি ১০০ গ্রাম পিয়াজে থাকছে-
ক্যালরি- ৪০ কিলো ক্যালরি
ফ্যাট- ০.১ গ্রাম
প্রোটিন- ১.১ গ্রাম  
কার্বোহাইড্রেট- ৯ গ্রাম (সরল শরকরা ৪.২ গ্রাম)
ভিটামিন বি ৬- অতি সামান্য  এই তালিকা থেকেই বোঝা যায় যে পিয়াজ আমাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার মতো কোনও খাবার নয়। পিয়াজের রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণ করলে এতে পাবো ফেনলিক কম্পাউন্ড (এন্টিওক্সিডেন্ট), পানি আর ফাইবার। কাঁচা খেলে যদিও কিছু এন্টিওক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, রান্নার ফলে তাও নষ্ট হয়।  

পিয়াজের কিছু ক্ষতিকর দিক আছে যেগুলো জেনে রাখা ভাল-

১। অ্যালার্জি: 
১৯৯০ সালে Journal of Allergy and Clinical Immunologyতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে পিয়াজে বিদ্যমান  All c4 aprofilin এবং All c alliin lyase Anaphylaxis এর জন্য দায়ী।

২। আন্ট্রিক গ্যাস: 
পিয়াজে উপস্থিত ফেনলিক কম্পাউন্ড ও সরল চিনি যা অনেকের ক্ষেত্রেই এসিডিটির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৩। গর্ভকালীন জটিলতা:
American Journal of Gastroenterology তে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা গেছে যে গর্ভবতী নারীরা পিয়াজ খেলে তাদের বুক জ্বালা-পোড়া, বমি ও বমিভাব বাড়ে।

৪। ঔষধের কাজে বাঁধা সৃষ্টি: 
পিয়াজ  blood thinner drug এর কাজে বাঁধা প্রদান করে। যারা রক্ত জমাট বাঁধা বা রক্ত তরলকারক ঔষধ খাচ্ছেন তাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
 
এতগুলো নেতিবাচক দিক তুলে ধরার কারণ একটাই, জনসাধারণকে বোঝানো যে দাম বাড়ুক বা না বাড়ুক পেঁয়াজ খাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা  সাবধান হওয়া উচিত।

লেখক: চীফ নিউট্রিশনিস্ট, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেড, চট্টগ্রাম।