বর্ষা মৌসুমে ত্বকের যত্ন

বৃষ্টির সময় গরম কম লাগলেও ভেজা পরিবেশের কারণে ত্বক ও চুল হয়ে যায় মলিন।

তাই বর্ষাকালে মেইকআপ থেকে শুরু করে চুলের যত্ন নেওয়াতে চাই বাড়তি আয়োজন।

সাজসজ্জা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ত্বক ও সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ ডা. অমিত কারখানিজের পরামর্শগুলো এখানে দেওয়া হল।

হালকা মেইকআপ: বর্ষাকালে মেইকআপ আর্দ্রতার কারণে ভেজা ভেজা হয়ে লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। ফলাফল ব্রণ। তাই এই মৌসুমে হালকা, পানিরোধী এবং ‘নন-কমেডোজেনিক’ অর্থাৎ যে প্রসাধনী লোমকূপ বন্ধ করে না এরকম পণ্য ব্যবহার করতে হবে।

চুল রক্ষা: দুর্গন্ধ, মাথার ত্বকের চুলকানি এবং খুশকি হল বর্ষাকালে চুলের সাধারণ সমস্যা। তাই বৃষ্টিতে চুল রক্ষা করার পাশাপাশি বাসায় ঢুকে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে কেবল চুল নয় পাশাপাশি মাথার ত্বকও ভালো থাকবে। 

ক্লিঞ্জিং: বর্ষাকালে ত্বক পরিষ্কার রাখা উচিত কারণ, বাইরের ময়লা ত্বকে জমাট বাঁধে এবং সহজেই বসে যায়। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ব্রণও দেখা দিতে পারে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার: রোদ থাকুক বা মেঘলা এই সময়েও নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। সামান্য রোদও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই নিজের ত্বকের সঙ্গে মানানসই সানস্ক্রিন নিয়মিত ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে। 

এক্সফলিয়েট: বর্ষাকালেও মসৃণ ত্বক পেতে এবং লোমকূপ থেকে ময়লা দূর করতে এক্সফলিয়েট করা প্রয়োজন। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করলে ত্বক সংক্রমণ মুক্ত থাকে। মৃত কোষ দূর হয়। ফলে মলিনভাব দূর হয়। 

ময়েশ্চারাইজার: বর্ষায় ময়েশ্চারাইজার ত্বকের উপকারী বন্ধু। প্রাকৃতিক ফলের নির্যাস সমৃদ্ধ লোশন ব্যবহার করতে হবে। এটা ত্বকে প্রাকৃতিক আভার পাশাপাশি শুষ্কতা দূর হয়।

গরম পানিতে গোসল: বর্ষাকালে শরীর থেকে বাড়তি তৈলাক্তভাব ও ময়লা দূর করতে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করা উচিত।