চট্টগ্রাম সিটি পেল নতুন প্রশাসক

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। নতুন মেয়র নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, আগামীকাল ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের মেয়াদ শেষ হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।

আরও পড়ুন- পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহত

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে বেশ কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করা হলে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. খোরশেদ আলমকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল তাকে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে আগামীকাল বুধবার (৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের শেষ কর্মদিবস। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে হচ্ছে তাকে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয় জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেয় কমিশন।

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এ ছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন– আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মিনার), এনপিপির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী (হাতি)।

আরও পড়ুন- চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু

নতুন প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়া খোরশেদ আলম সুজন ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে চবি থেকে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি সায়েন্সে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ১৯৮৬ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

প্রায় ৫০ বছরের বর্ণিল রাজনীতিক ক্যারিয়ারে অনেকবার সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ এলেও তা বারবারই হাতছাড়া হয়েছে তার। অবশেষে জীবনের শেষবেলায় এসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন তিনি।

আরও পড়ুন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের এএসআই খুন