বগুড়ার কৃষি অঞ্চলে শীত বা রবি মওশুমে প্রধানত সরিষার ও আলুর চাষ হয় । বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার আলু এবং পাবনা ও সিরাজগঞ্জে রায় সরিষার জন্য বিখ্যাত ।এই চার জেলা নিয়ে গঠিত ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চল’ ।
চলতি বছওে বগুড়া কৃষি অঞ্চলে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আলু। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বগুড়া ও জয়পুরহাটে।জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৩শ ১৫ হেক্টর, বগুড়ায় ৫৮ হাজার ৫শ ২৫ জমিতে চাষ হয়েছে আলুর। এবারে ২৩ লাখ ৬০ হাজার ২শ ১০ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে । বিদ্যমান আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও ২০/ ২৫দিন ভালো থাকলে আলুর শতভাগ ফলন নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মকর্তারা।
এবছরে বগুড়া অঞ্চলে ইতোমধ্যেই ১ লাখ ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে । সবচেয়ে বেশি জমিতে চাষ হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলায় ৪৯ হাজার ৫শ’ ২৫ হেক্টর। সরিষার উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন । আবহাওয়া এখনতক অনুকুল থাকায় সরিষার বাম্পার ফরনের ইংগিত দিয়েছে কৃষি বিভাগ। আগামী ১৫দিন যদি বৃষ্টি বাদল মুক্ত থাকে পরিবেশ তাহলে শতভাগ ফলনের আশা করছে বগুড়ার কৃষি বিভাগ ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী এবং মার্চে পুরোদস্তর আলু বাজারে আসলে বর্তমানের চড়া দাম কমে আসবে । সরিষা তেলের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়ায় ক্রমশ সরিষাও লাভজনক রবিশস্য হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। তাদের মতে চাহিদার অতিরিক্ত আলু বিদেশে রফতানি নিশ্চিত করলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি নতুন খাত খুলে যাবে । অন্যদিকে সরিষা তেলের ব্যবহার বাড়লে সয়াবিন তেল আমদানি কমলে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রার ।এতে সমৃদ্ধ হবে উত্তরের কৃষি অর্থনীতি ।
আরো পড়ুন- ধান চাষে ৫০ হাজার হেক্টর জমি বাড়ানো হবে