বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে দুইজন সাংবাদিকদের অস্ত্র হাতে মহড়ার ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই দুই সাংবাদিকের মধ্যে রাজু আহম্মেদকে দৈনিক যুগান্তর, ডিবিসি টেলিভিশন থেকে এবং কমল খানকে দেশ রূপান্তর পত্রিকা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দুটি হত্যা মামলায় আসামী হয়েছে সাংবাদিক রাজু আহম্মেদ। সেই সব ঘটনার রেশ না কাটতেই বন্দরে আরো ২ সাংবাদিকের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে মদনপুরে মহড়া দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ওই দুই সাংবাদিক হলেন, দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক ডান্ডিবার্তা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি দ্বিন ইসলাম। সেই সাথে তিনি সোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। অপরজন হলেন মুক্ত খবর পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি এবং মদনপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি
সোহেল প্রধান। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের দাবিতে ছাত্র-জনতা যখন মদনপুর ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা সড়কে বিক্ষোভ
মিছিল ও সংগ্রাম চালিয়ে যায়, ঠিক ঐ মূর্হতে আওয়ামীভযুবলীগের নেতা সন্ত্রাস অহিদুজ্জামান অহিদের নেতৃেতে যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর অস্ত্র মহড়ায় কথিত সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম ও সোহেলকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। জানা যায়, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম রশিদের ক্যাডার অহিদুজ্জামান অহিদের নেতৃেতে তার সাঙ্গ-পাঙ্গ দ্বীন ইসলাম ও সোহেল বন্দর, মদনপুর, ফুলহর, মুরাদপুর, চানপুর, দেওয়ান বাগ, কেওডালা, জাঙ্গাল এলাকায় অপরাধীর বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলো।
সূত্রে আরো জানা যায় আওয়ামী যুবলীগের নেতা অহিদের নাম সর্বত্র ব্যবহার করে দ্বীন ইসলাম ও সোহেল ফুলহর আসমানী পরিবহন, প্রাইভেট হাসপাতাল, রি রোলিং, স্টিল মিলস, গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য চালান।
ফুলহরের এক ভোক্তভোগী জানান আমার ছেলে কদমরসূল সরকারী কলেজে পড়েন গত ২৩ জুলাই সন্ত্রাসী অহিদের নেতৃত্বে একদল আওয়ামীলীগ ক্যাডার এসে আমার ছেলেকে হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। এতে আমরা আতঙ্কে ছিলাম। এখন আমরা এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনী বিচার চাই।