ডিজিটাল সমাবর্তন মানেই সাত কলেজেকে ছোট করা: জিহাদ আসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫৩ তম সমাবর্তন আগামী নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে। ৫৩তম সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেল বিজয়ী ফরাসী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জঁ তিহল। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সমাবর্তন অংশগ্রহন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

এই ডিজিটাল সমাবর্তন নিয়ে ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জিহাদ আসলাম এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বলেন, ডিজিটাল সমাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের সাত কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের ছোট করা হচ্ছে।

আমরা সবাই শুধু টেলিভিশন দেখার মত শ্রোতা ও দর্শনার্থী হয়ে বসে থাকি। শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব নেই ও সাধারণ ছাত্রদের পক্ষ থেকে ও কিছু বলার সুযোগ নেই। এতদূর আসার পেছনের গল্প শেয়ার করার ও সুযোগ নেই।

ঢাবিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও নোবেলবিজয়ীরা আসে, বক্তব্য দেয়। আমাদের জন্য তারা না হোক মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ও অন্য একজন গুনী মানুষের উপস্থিতিতেও আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের মধ্যে যারা ভালো ফলাফল করে তাদের জন্য মেডেল ( পদকের) ব্যবস্থা ও নেই। এসব তো নেই ই বরং আমরা ডিজিটাল নামক টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে থাকি।

এভাবে সমাবর্তনের মাধ্যমে আপনারা অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজকে ছোট করছেন, আমরা এতে বিব্রতবোধ করি। এর আগের বছর আমাদের অংশগ্রহণ নিয়ে পুরো ঢাকা শহরে অনেক ট্রল হয়েছে। আমাদের ছেলেরা যে খুব করে সমাবর্তন চায় বা এর জন্য মুখিয়ে আছে তা ও কিন্তু না।

অতএব, আমাদের জন্য যদি সমাবর্তনের ব্যবস্থা করেন তবে সব কিছু সম পরিমাণে করতে হবে এবং সাত কলেজ ক্যাম্পাসেই স্বশরীরে অতিথীদের উপস্থিততে সাত কলেজের সকল ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ একই মাঠে সমাবর্তনের ব্যবস্থা করেন। এমনটা করতে না পারলে আমাদের সমাবর্তনের প্রয়োজন নেই। আপনাদের এমন সমাবর্তন কে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বয়কট করবে।