প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের পাশে এখনই দাঁড়াতে হবে : ড. আনসারী

কৃষিকে উৎপাদন মুখি করে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃষিতে ভর্তুকির কোন বিকল্প নেই বলে মত দিয়েছেন দেশের কৃষিখাতে অন্যতম অবদান রাখা প্রতিষ্ঠান এসিআই এগ্রিবিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী।বিজেনেস নিউজ  পোর্টাল দেশ সমাচারের সাথে আলাপকালে  তিনি বলেছেন, ইউরিয়া সার এবং ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তার মতে, দেশে কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করতে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের পাশে এখনই দাঁড়াতে হবে।

এ সময় তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের মূল্য বেড়ে যাওযায় প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সার ও তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে ধান প্রতি মনে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ভুট্টা প্রতি মনে ৩৫ টাকা এবং আলু প্রতি মনে ১৬ থেকে ২০ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

সার ও ডিজেলের দাম বাড়ায় চলতি মৌসুমে আমন চাষে বিপাকে পড়েছেন দেশের কৃষকরা। ইরি বেরো ধানসহ কৃষি উৎপাদনে কৃষকরা সেচের জন্য ডিজেল চালিত সেচ পাম্প ব্যবহার করেন। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবেলায় ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে। ফলে জ্বালানি সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা।

ইউরিয়া সার কেজিতে ছয় টাকা এবং ডিজেল লিটার প্রতি বেড়েছে ৩৪ টাকা। সার ও ডিজেলের বাড়তি দামে চলতি আমন মৌসুমে আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এক দিকে ইউরিয়া সারের দাম বাড়ানোয় কৃষকরা চোখে শর্ষে ফুল দেখছেন। সবকিছু মিলে কৃষি খাতে উৎপাদনের খরচ বাড়বে। ফলে কৃষকদের একটি বড় অংশ চাষাবাদ ছেড়ে দিতে পারেন বলে আশংকা করছেন কেউ কেউ।

দেশ সমাচারের সাথে আলাপকালে এসিআই এগ্রিবিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, ইউরিয়া সার শুধু ফসল উৎপাদনে নয়, সবক্ষেত্রেই এই সারের ব্যবহার  রয়েছে। বিভিন্ন ফলমূলে এমনকি গরুর খাদ্য হিসেবে এখন ইউরিয়া সার ব্যহবার হচ্ছে। মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কৃষক পর্যায়ে খামারীদের উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে জ্বালানী তেলের দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লিটারে ডিজেল ৩৪ টাকা, পেট্রোল ৪৪ এবং অকটেনের দাম বেড়েছে ৪৬ টাকা। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা হয়েছে।