‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ’ হোক বাজেটের মূলনীতি 

ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও ড. এম এ রাজ্জাক (ছবি: বাসস)

দেশ সমাচার বাণিজ্যডেস্ক: বর্তমান মূল্যস্ফীতিকে অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ সাধারণ মানুষের উপর মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখা কিংবা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূলনীতি হিসেবে দেখা উচিত।

দেশের শীর্ষ স্থানীয় দুই গবেষণা প্রতিষ্ঠিান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক ড. এম এ রাজ্জাক এ মতামত প্রকাশ করেন।

ড. মোস্তাফজুর রহমান বলেন, দেশের মানুষ এখন মূল্যস্ফীতির চাপে আছে। তাদেরকে স্বস্তি দিতে মূল্যস্ফীতি যতটা সম্ভব সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। এর জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। তার মতে, এর দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সৃরক্ষা দেয়াটা জরুরি।

তিনি বলেন, সরকার ১০ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে। নগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরণের খাদ্য সহায়তা ও নগদ সহায়তা কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে। তাই ভর্তুকিতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। তিনি মনে করেন, এর জন্য যদি বাজেটের ঘাটতি কিছুটা বাড়ে, তাহলে সেটা মেনে নেয়া দরকার।

গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক এবং কমনওয়েলথ সবিবালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের সাবেক প্রধান ড. এম এ রাজ্জাক মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আগামী বাজেটের মূলনীতি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, পুরো পৃথিবীজুড়ে এখন মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে। এখানেও সেটা দেখা যাচ্ছে। তাই এ বছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি গরীব জনগোষ্ঠীকে খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান করতে আগামী বাজেটে তাদের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৬২ লাখ পরিবারকে ৫ মাসে ৩০ কেটি করে চাল দিচ্ছে। ড. এম এ রাজ্জাক এ কর্মসূচিকে আরও বিস্তর আকারে করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন বলে জানা গেছে।

সূত্র: বাসস