কানাডায় ‘ঠাঁই হলো না’ ডা. মুরাদ হাসানের

ই-মেইল

ডা. মুরাদ হাসান কানাডায় ঢুকতে পারেননি বলে জানিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটির একটি বাংলা সংবাদমাধ্যম। নতুন দেশ নামের ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুরাদকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

কানাডায় বসবাসরত মুরাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে, তবে কানাডার সরকারি সূত্র থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।

মুরাদকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ইকে ৮৫৮৫ বৃহস্পতিবার রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে। পৌঁছে স্থানীয় সময় (শুক্রবার) দুপুর ১টা ৩১ মিনিটে।

শাহজালাল বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছিলেন, মুরাদ প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যাবেন। সেখান থেকে আরেকটি ফ্লাইটে কানাডা যাবেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, মুরাদ হাসানের সঙ্গে তার পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। তিনি একাই কানাডা যাচ্ছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের পর এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে মুরাদের অশালীন বক্তব্যের অডিও ফাঁস হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পদত্যাগ করেন মুরাদ।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে পত্রিকাটি আরও জানায়, কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। দীর্ঘ সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।

বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ান নাগরিক কানাডায় তার প্রবেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেন বলেও জানানো হয়।পরে তাকে মধ্যপ্রচ্যের একটি দেশের বিমানে তুলে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

তবে এর আগে কানাডা থেকে মুরাদ হাসানের ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছিল যে মুরাদ হাসান কানাডায় ঢুকেছেন। তিনি টরন্টো থেকে মন্ট্রিয়লে তার আত্মীয়ের বাসায় গেছেন এবং সেখানেই অবস্থান করছেন।