ভোটের আগেই সহিংসতা, বিব্রত নির্বাচন কমিশন

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে, যা নিয়ে নির্বাচন কমিশন ‘বিব্রত’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ মন্তব্য করেন ।

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ইতিবাচক নয় বলেও মনে করেন সিইসি নুরুল হুদা।

সিইসি বলেন, চলমান ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার পরিমাণ বেড়েছে। আমরাও তা প্রত্যক্ষ করছি। মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া দরকার, সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। নির্বাচনি সহিংসতার অনেক ঘটনা ঘটেছে, তাতে বিব্রত ও উদ্বিগ্নতা কাজ করছে। সেগুলো কীভাবে নিরসন করা যায়, তা নিয়ে কমিশনারদের সঙ্গে আরও বিস্তারিত আলোচনা করে মাঠ পর্যায়ের যারা আছেন, তাদের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচনি পরিস্থিতি ইসির নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আছে। নির্বাচনে যারা অংশ নেন, যেমন- রাজনৈতিক দল, ভোটার ও প্রার্থীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। সুতরাং, আমরা এখানে যতই যা করি না কেন, মাঠ পর্যায়ে যদি সহনশীলতা না থাকে, তাহলে এ নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

এসময় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটাই মাত্র বক্তব্য সেটা হলো নির্বাচনের যে বিষয়গুলো আপনারা উল্লেখ করেছেন, যেই ধাপগুলো মূলত নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে আমরা সোজা মেসেজ দিতে চাই। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পরে কিন্তু এর দায় তাদের ওপরই বর্তাবে। আমরা তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনবো।