হঠাৎ ঘাড়ের ব্যথা হলে করণীয়

ঘাড়ের

ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ ঘাড়ের একপাশে প্রচণ্ড ব্যথা, কিংবা কাজ করতে করতে হঠাৎই ঘাড়ে একদিকে প্রবল টান, কিছুতেই ঘাড় ঘোরানো যাচ্ছে না… এই রকম সমস্যায় অনেকেই পড়েছেন। এর কারণ হিসেবে হতে পারে অনেক কিছু।

পেশি দুর্বল হলে- দীর্ঘক্ষণ একভাবে একজায়গায় বসে থাকলে পেশিতে খিল ধরে এবং ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথা হয়। এই একভাবে বসে থাকতে গিয়ে আচমকা টান লেগেও ব্যথা হতে পারে।

ঘাড়ের টিস্যুর ক্ষয়- বয়স হলে ঘাড়ের টিস্যুর ক্ষয় হয়। এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন ধরে ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করছেন তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। এর ফলে ঘাড়ের মধ্যেকার হাড়ে ফাঁক থেকে যায়। যেখান থেকে ব্যথা হতে পারে।

স্লিপ ডিস্ক হলে- কোনও কারণে স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে কোনও টিস্যু ফুলে গেলে স্লিপ ডিস্ক হতে পারে। সেখান থেকেও ঘাড়ে ব্যথা হয়।

এ সময়ে যা করণীয়

-দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ও সেলাই মেশিন ব্যবহারে সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করবেন না।

-মাথার ওপর কোনো ধরনের ওজন নেবেন না।

-তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইস্টিং) এসব অভ্যাস করা যাবে না।

-শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।

-সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।

-কাত হয়ে বা অস্বাভাবিক অবস্থানে থেকে দীর্ঘক্ষণ বই পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।

-কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।

-ঘাড়ের ব্যথা বেশি থাকলে গাড়ি চালানো, ভারী কাজ করবেন না। হিতে বিপরীত হবে।

-মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা থেকেও ঘাড়ের ব্যথা আসে। তাই চাপ বেশি থাকলে আগে তা কমানোর চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটিয়ে নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখুন।

একটানা ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান। পরামর্শ মতো ওষুধ খান। খুব প্রয়োজন না হলে শিরদাঁড়ায় ইঞ্জেকশন নেবেন না।

আরো পড়ুন- টানা বসা কাজে যেসব ক্ষতি !