সামনেই আসছে কুয়াশাচ্ছন্ন শীত। শীতে কিছু কিছু অঞ্চলে জনজীবন অনেকটাই স্থির হয়ে যায়। শীতকালীন সময়ে দিন ছোট, বিষণ্ন বিকেল আর ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের প্রফুল্ল মন ও কর্মচাঞ্চল্যে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। শীতের সময় শরীরে একটা অলসতা ভাব আসে। তবে সঠিক খাবার বাছাই, ওজন নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে কর্মোদ্যমী করে তোলা যায়।
কর্মোদ্যমী সকাল: সকালেই কর্মোদ্যমী দিন শুরু করুন। দিনের শুরুতেই শরীর নাড়াচাড়া বা ব্যায়াম করতে পারেন। সুযোগ থাকলে ১০ মিনিট বাড়ির বাইরে দৌড়ান। বাইরের সতেজ বাতাস আপানর মন ভালো করবে।
পানি পান: শীতকালে খুব কমই তৃষ্ণা পায়। এ সময় পানি কম পান করার ফলে শরীর আর্দ্রতাহীন হয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়া হলেও শরীরে পানির চাহিদা থাকে। যারা বাড়িতে বা অফিসে থাকেন তাদের জন্য বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করতে হবে।
প্রোটিন গ্রহণ: ভালো মানের প্রোটিন পেশি ঠিক রাখার পাশাপাশি শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। সমৃদ্ধ প্রোটিন দেহে উত্তেজক ওরেক্সিন কোষ উৎপাদনে সাহায্য করে যা শরীরে কর্মোদ্যমী বাড়ায়।
প্রোটিন গ্রহণের উৎকৃষ্ট মাধ্যম হচ্ছে বাদাম খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা। কাজু বাদাম প্রোটিনের ভালো উৎস। এটি কেবল শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণই করে না, এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
ভিটামিন ‘ডি’: শীতের সময় অধিকাংশ লোকজনই ঘরের ভেতর থাকেন। এ সময় শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ কমে যায়। তাই এ সময় পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গ্রহণ করা জরুরি। বিশেষ করে ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেন্ট ‘বি’ রশ্মির মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয়।
রঙিন খাবার: খাদ্যতালিকায় কমলা বা রঙিন ফল খাদ্য রাখতে পারেন। সবুজ রঙের সব ফলই শীতকালীন ডায়েটে রাখতে পারেন। এছাড়াও লাল টমেটো এবং কিছু হলুদ রঙের মরিচ খেতে পারেন।
অন্যান্য পুষ্টি: শরীরে ব্লাড সুগারের ঘাটতি প্রতিরোধে এবং পেশিতে গ্লাইকোজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট রাখতে হবে। শীতকালে প্রচুর ফল ও শাক-সবজি পাওয়া যায়। এগুলো আঁশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উৎস। ভিটামিন ‘সি’ গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফল ও সবজিতে পাওয়া যায়। এটি শীতকালীন ফ্লু ও ঠান্ডা প্রতিরোধে সাহায্য করে। কমলালেবু, আঙুর, স্ট্রবেরি, কিউই ফল এবং পেয়ারায় ভিটামিন ‘সি’ এবং বায়োফ্লাভোনয়েডে ভরপুর।
আরও পড়ুনঃ- হাড় ভালো রাখতে যে খাবার খাবেন
রোগপ্রতিরোধ সিস্টেমকে সচল রাখতে জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম গুরুত্বপূর্ণ। মাংস, মাছ, ডিম, বাদাম এগুলোর ভালো উৎস।