রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের ভিড়

রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটকের ভিড়
রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু।ফাইল ছবি

করোনা মহামারীতেও রাঙ্গামাটিতে জমে ওঠে পর্যটন মৌসুম। দেখা মেলে ভ্রমণপিপাসু লোকজনের। ঝুলন্ত সেতুতেও পদচারণ বিপুল পর্যটকের।

করোনার কারণে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর জেলার সবকটি পর্যটন খুলে দেয় জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ সময় পর জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হলেও প্রথম দিকে পর্যটকের আনাগোনা ছিল কম। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয়েছে জেলার বাঘাইছড়ির দুর্গম সাজেকভ্যালি।

ভ্রমণে আগ্রহ থাকলেও মনে ছিল করোনার ভয়। তাই শুরুর দিকে তেমন সাড়া মেলেনি দূরের পর্যটকদের। এখন যথেষ্ট পর্যটক যাচ্ছেন রাঙ্গামাটিতে।

জানা যায়, শুক্র-শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে মুখর হয়ে ওঠে রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তবে সরকারি নির্দেশনার স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্যতামূলক।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত মাসেই রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেন জেলা প্রশাসক। এ মাসের প্রথম সপ্তাহে খুলে দেয়া হয়েছে জেলার বাঘাইছড়ির সাজেক রিসোর্ট, কটেজগুলো।

করোনায় দীর্ঘ সময় বন্ধের কারণে রাঙ্গামাটির পর্যটন খাতে ক্ষতি হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন :- রাঙ্গামাটিতে ৫০ দোকান পুড়ে ছাই

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জেলার পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। পর্যটন স্পটে যারা ঘুরতে যাবেন, তাদের অবশ্যই সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সংশ্লিষ্ট পর্যটন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

রাঙ্গামাটিতে সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সসহ রয়েছে অনেকগুলো স্পট ও দর্শনীয় স্থান। এসব পর্যটন স্পটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগমন ঘটে প্রচুর পর্যটকের। এ বছর করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এতে লোকসান গেছে অন্তত ২৫ কোটি টাকা।

শনিবার সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সসহ শহরের কয়েক স্পট ঘুরে দেখা গেছে, ওইসব স্পটে দূরের পর্যটকসহ যথেষ্ট লোকজন ঘুরতে এসেছেন।

জেলা প্রশাসনের রাঙ্গামাটি পার্ক ও জেলা পুলিশ পলওয়েল পার্কের টিকিট কাউন্টারে জানতে চাইলে কর্তব্যরতরা জানান, শুক্র- শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বাড়ছে।

বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে।  পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স করোনাকালেও খোলা ছিল। কিন্তু পর্যটকের আনাগোনা বন্ধ ছিল। এখন পর্যটক এলে পর্যটনশিল্পে প্রাণ ফিরে পাবে।

দীর্ঘদিন পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় রাস্তা, অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে বেশ। এসব ক্ষতিতে ভ্রমণে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন পর্যটকরা। এসব সংস্কারের পাশাপাশি বাড়তি কিছু সুবিধা বাড়ানোর প্রত্যাশা করেছেন পর্যটকরা।