দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ

ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দেশটির রাজধানীতে ব্যাপক কৃষক আন্দোলন চলছে। এরই মধ্যে কৃষকদের আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হলো ভারতের রাজধানী দিল্লি।

আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মূল কুচকাওয়াজ শেষ হতেই বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দিল্লি।

জানা যায়, দিল্লির ছয়টি প্রবেশপথ থেকে আজকের কর্মসূচি শুরুর কথা ছিলো কৃষকদের। কিন্তু পুলিশ এর সবগুলোই অবরোধ করে রেখে কর্মসূচি পালনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দেয়।

এদিন সিংঘু ও টিকরি বর্ডার হয়ে হাজার হাজার কৃষক দিল্লিতে ঢুকতে শুরু করে। দিল্লি পুলিশের ঠিক করে দেওয়া রাস্তা দিয়ে কৃষকদের মিছিলটি হওয়ার কথা ছিল। তবে বিক্ষোভের মুখে তা আর হয়নি। কিন্ত পুলিশ লাঠিচার্জ করতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

দিল্লির অতি গুরুত্বপূর্ণ আইটিও এলাকায় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীদের একাংশ এগিয়ে আসেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভরত কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে তেড়ে আসে। শুরু হয় পাথর নিক্ষেপ ও বাস ভাঙচুর। ফলে পরিস্থিতি বেশ জটিল আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।

এরপর বিক্ষোভরত কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীিঅনুযায়ি দিল্লিতে দুই লাখ ট্রাক্টর কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বিরোধী মিছিলে অংশ নেয়। সংযুক্ত কিষান মোর্চার দাবি, দিল্লি পুলিশ প্রজাতন্ত্র দিবসে পাঁচ হাজার ট্রাক্টরের কুচকাওয়াজের জন্য অনুমতি দিয়েছিল।

এদিকে ভারত কৃষক সভা জানিয়েছে, দিল্লির পাশাপাশি কৃষি আইনের প্রতিবাদ হবে ভারতের সর্বত্র । ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতৃত্বে বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লিতে সংসদ ভবন অভিযান শুরু করা হবে। ঘেরাও করা হবে পার্লামেন্ট। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে এই কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে।

আরো পড়ুন-  কাশ্মীরে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

উল্লেখ্য, ভারতের কেন্দ্রীয় এনডিএ সরকারের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লি ঘিরে রেখেছে লাখ লাখ কৃষক। সরকারের সঙ্গে তাদের একাধিকবার আলোচনা ভেস্তে গেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই কৃষি আইনের সংশোধনী চাইলেও কৃষকদের দাবি এই আইন বাতিল করতে হবে।