প্রাণীসেবায় অনন্য এ্যানিমেল রেসকিউয়ার বাংলাদেশ

এ্যানিমেল রেসকিউয়ার বাংলাদেশ

আমাদের চারপাশে কুকুর-বিড়ালসহ অনেকপ্রাণী অনাহারে-অর্ধাহারে থাকে। ক্ষতিগ্রস্তও হয় মানুষের মাধ্যমে। আবার কিছু মানুষ এসব প্রাণীদের প্রতি বাড়িয়ে দেন মমতার হাত। তারা প্রাণীর সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে নিশ্চিতে কাজ করছেন প্রতিনিয়ত। প্রাণীপ্রেমীদের এমন একটি সংগঠন ‘এ্যানিমেল রেসকিউয়ার বাংলাদেশ’।

সংগঠনের সদস্যরা বয়সে তরুণ। সমাজের ভারসাম্য রক্ষায় প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করছে তারা। শহরের কুকুর-বিড়ালসহ অন্যান্য প্রাণীর বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। সংগঠনটিতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছেন জাহিদুল ইসলাম সজীব, অপর্না চৌধুরী, তারিক হাসান, আজিজুল হানি, সাব্বির রহমান, রাইসুল ইসলাম, সৈয়দ আহম্মদ নাঈমুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন তরুণ।

মূলত অসুস্থ ও দুর্ঘটনায় আহত কুকুর-বিড়াল, বানর এমনকি পাখীকেও উদ্ধার করে ভ্যাটেরিনারি চিকিৎসা দেয় সংগঠনটি। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা সংগঠনের সদস্যরাই দিয়ে থাকেন। প্রাণী অধিকার নিশ্চিতে আইনি বিষয়গুলোও তদারকি করে সংগঠনটি।

স্বেচ্ছাসেবকরা যার যার এলাকা ভিত্তিক কমিউনিটি ডগদের খাবার দেয় এবং বছরে একবার জলাতঙ্কের টিকা দেয়। কুকুরদের জন্মসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় অপারেশন ‘এ্যানিমেল রেসকিউয়ার বাংলাদেশ’ থেকেই করা হয়।

সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় কুকুর নিধন ও অত্যাচার বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে। সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে কর্নধার সজীব বলেন, মানুষকে জানাতে চাই প্রাণীদেরও কষ্ট আছে, ব্যথা আছে। মানুষ যখন প্রাণীকে কাছে টানে, মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, এক টুকরা বিস্কুট দেয় তখন তারা কৃতজ্ঞ হয়ে যায়।

সংগঠনের ফান্ডিংযের বিষয়ে সজীব বলেন, ফান্ডিংটা সবচেয়ে কঠিন বিষয়! এনিমেল ওয়েলফেয়ারের গ্রুপগুলোতে আহত বা অসুস্থ প্রাণীর ছবি বা ভিডিওসহ পোস্ট করি, বড় বড় গ্রুপগুলোতে লক্ষ লক্ষ ডোনার থাকা সত্বেও খুব সীমিত ফান্ড আসে। যা দিয়ে কোনভাবেই চিকিৎসা ব্যয় মেটে না।

তিনি আরও বলেন, সরকারি সাহায্য যদি থাকতো, সমাজের সম্পদশালী ব্যক্তিবর্গ যদি এগিয়ে আসতেন তবে বহু প্রাণীর প্রাণ বাঁচতো।

সজীব বলেন, আর্ধিক সংকটের কারণে সংগঠনের কাজ বেগবান করা কঠিন হচ্ছে। কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের নাম্বার  ০১৭১২-৫৯৯৭৬০।