কিশোর গ্যাং থেকে নতুন রুপে কথিত সাংবাদিক রানা

নুর উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ‘কিশোর গ্যাং নেতা’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। তার নাম আব্দুর রাজ্জাক রানা কিন্তু রানা দেওয়াজী নামে মানুষের কাছে নিজের নাম পরিচয় দেন। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ পরিচয়ে দুই ব্যাক্তির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এরপর জেলেও যেতে হয় তাকে, তারপর জেল থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে নতুন পরিচয়ে রুপ নেওয়ার জন্য পুলিশ থেকে এবার সাংবাদিক পরিচয়ে পরিচিত হতে চান তিনি।

ইতিমধ্যে লক্ষ্মীপুরের একটি স্থানীয় পত্রিকা ‘দৈনিক কালের প্রত্যাশা’র নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে একটি প্রেসকার্ড গলা জুলিয়া দাপটের সাথে চলছে রানা। খোঁজ নিয়ে যানা যায়, মাধ্যমিক গুন্ডিও পার হতে পারেনি রানা। তার পত্রিকার প্রেসকার্ড সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার পর থেকে ব্যাপক সমলোচনা মুখে পড়তে হয় তাকে।

তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মারামারি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তার সাংবাদিকতা নতুন রুপে আশাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মহলে চলছে নির্ধার ঝড়। আকরাম হোসেন বাবু নামে একজন বলেন, “রানার নামে কত মামলা আছে কিন্তু প্রতিবার কীভাবে ছাড়া পায় আল্লাহ ভালো জানে, নাম্বার ওয়ান চাঁদাবাজ”।

দৈনিক কালের প্রত্যাশার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, আমি এই রানা সম্পর্কে জানি না। সে কিভাবে আইডি কার্ড পেলো বা বানালো আমি অবগত নই। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রায়পুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মন্তব্য করে বলেন, যাঁরা তাকে সাংবাদিক হওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছে তাদের ধন্যবাদ। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, কিন্তু দুঃখ জনক হলেও আজকাল এ পেশা মূর্খদের আবির্ভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রায়পুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেসব পত্রিকা সম্পাদকরা যাচাই বাছাই না করে অর্থের লোভের জন্য অযোগ্যদের নিয়োগ দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিপন বড়ুয়া বলেন, রানার বিরুদ্ধে নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য যারা সাংবাদিকতা হাতিয়ার হিসেবে নিবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। যে কেউ অপরাধ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।