খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হবে : ড. আনসারী

বিশ্ববাজারে সারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে চলতি বাজেটে কৃষি খাতের ব্যয়ের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

আর এই দাম বৃদ্ধির কারণ শুধু রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ। যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি খাত। বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলায় সম্প্রতি সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এই বরাদ্দকৃত অর্থের বড় অংশই চলে যাবে সার কেনার বর্ধিত মূল্য পরিশোধের জন্য।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দেশের অন্যতম কৃষি উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব ড. এফ এইচ আনসারী। বিজনেস নিউজ পোর্টাল দেশ সমাচারের সাথে আলাপে বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হবে। কৃষি ও জ্বালানি খাতে এই সময়ে ভর্তুকি কমানো যাবে না।

এসিআই এগ্রিবিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারীর মতে, আমাদের প্রধান ফসল ধানের যত্নে সার লাগবেই, সারে ভর্তুতির মাধ্যমে ধানের উৎপাদন খরচ সহনীয় রাখলে কৃষক এবং ভোক্তা উভয়েই লাভবান হবেন। অন্যথায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে এবং কৃষক আগ্রহ হারানোর পাশাপাশি চালের দামও বেড়ে যাবে। অতএব কৃষিখাতে তথা সারে ভর্তুকির সিদ্ধান্ত যুগউপযোগী।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বাজেটে পরিচালনা ব্যয়ের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৩ হাজার ১৭১ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ২ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা আরও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক খাদ্যশস্য ফলন হবে এমনটি পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। ফলে আগামীতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কৃষি খাতে সম্পৃক্ত মানুষের আয় বাড়বে এমনটি প্রত্যাশা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

এই মুহূর্তে মাঠে ধানের অবস্থা ভালো। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৯০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হাওড়ে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে আগাম বন্যায় প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সময়মতো বাঁধ রক্ষা, অনুকূল আবহাওয়া ও যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটার ফলে ইতোমধ্যে হাওড়ের ধান ঘরে তোলা গেছে।