সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান

সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান

সৌদি আরবের হাইল প্রদেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। সম্প্রতি রাষ্ট্রদূত হাইলের চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল আজিজ খালাফ আল জাকদির সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের আওতায় বিনিয়োগ করতে পারে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য সৌদি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন। সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় চেম্বার সভাপতি বাংলাদেশের হালনাগাদ অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সম্ভাব্য ব্যবসায়িক খাতসমূহ যেখানে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা করার সুযোগ রয়েছে সেই সম্পর্কে সাম্প্রতিক তথ্য প্রদানের অনুরোধ জানায়। এছাড়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক খাতসহ বিস্তারিত প্রোফাইল পাঠাতে অনুরোধ করেন; যা চেম্বার সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হবে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করবে।

চেম্বার সভাপতি জানান, তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়ে সফলতার অংশীদার হতে চায়। হাইল চেম্বার বাংলাদেশকে তাদের পরবর্তী ব্যবসায়িক গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে বলে জানান চেম্বার সভাপতি।

এ সময় রাষ্ট্রদূত ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান। এছাড়া বাংলাদেশের হস্তশিল্প, সিরামিক, তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্য আমদানির জন্যও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।

আরো পড়ুন : সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭ বছরের সেই মেয়েটির স্বপ্নপূরণ

রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী হাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রেক্টর ড. রাশিদ বিন মুসলাত আল শরীফের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি সৌদি আরবের সবুজায়ন উদ্যোগের আওতায় মরুভূমির উপযোগী বৃক্ষরোপণ, মরুভূমির বিলুপ্ত বৃক্ষসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ফেলোশিপের আওতায় যৌথ গবেষণার প্রস্তাব দেন। এছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের ছাত্রদের বৃত্তি বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেন। হাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

এ বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যপ্রাচ্যে তিন নম্বর র‍্যাংকিংয়ে অবস্থান করছে। এ সময় দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সেলর মর্তুজা জুলকার নাইন নোমান ও কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।