গাফিলতির কারণে প্রকল্পের সময় ও খরচ বাড়লে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলমান প্রকল্পে যাদের কারণে পরবর্তীতে নতুন আইটেম যোগ করতে হয়, এ কারণে ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রকল্পে এখন নতুন করে বিভিন্ন কার্যক্রম যোগ করে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। মূল অনুমোদিত মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এখন সংশোধনীতে তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন- কেন এটি এত নতুন কার্যক্রম যোগ করতে হচ্ছে এবং ব্যয় ও মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে? কারা প্রকল্পটি তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন? তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পটির প্রসঙ্গে আলোচনা হলেও এটির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সার্বিকভাবে সব প্রকল্পের ক্ষেত্রেই এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন- প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যাতে একজন প্রকল্প পরিচালক একাধিক প্রকল্পের দায়িত্বে না থাকেন। সেই সঙ্গে তারা যাতে প্রকল্প এলাকায় থাকেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ- আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ

প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘প্রকল্প গ্রহণের সময় স্টাডি না করে কেবল সার্ভের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়। এ কারণে সময় ও ব্যয় বেড়ে গেছে। ডিজাইন পরিবর্তনের কারণে প্রায় ৬৫ শতাংশ ব্যয় বেড়ে গেছে। প্রকল্প নেওয়ার সময় যদি সবকটি ব্রিজের কেস স্টাডি করে নেওয়া হতো তাহলে এই সংশোধনের প্রয়োজন হতো না। যেটা বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও নোটিশ করেছেন। এ কারণে তিনি ভবিষ্যতে ব্রিজ, রাস্তার মতো প্রকল্পে স্টাডি ছাড়া প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’