thanপুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই দেখা মেলে থানকুনি গাছ। সুস্থতার জন্য পাতাটির জুড়ি নেই। চিকিত্সকরা বলেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে, মিয়মিত খেলে পেটের অসুখে কোনো দিনও ভুগতে হবে না।
দেখে নেয়া যাক, সুস্থ থাকতে থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলো।
১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনো পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনো দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।
২. পেটের সুস্থ্যতার পাশাপাশি আলসার, এগজিমা, হাঁপানি-সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও উজ্বলতা বাড়ে।
৩. থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। পাতাটিতে থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B, যা মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়।
৪. পাতাটির রস খেলে স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে।
৫. চামড়ায় শুষ্ক ছাল ওঠা, রুক্ষ চামড়ার জন্য রস করে খেলে চামড়ায় মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে।
৬. পুরনো ক্ষত কোন ওষুধেই না সারলে, পাতা সিদ্ধ করে তার পানি লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
৭. এটি চুল পড়া আটকে নতুন করে চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৮. যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে।
৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনি ভালো কাজ করে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে, তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।
থানকুনি পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। অঞ্চলভেদে এটিকে টাকা পাতা, টেয়া, মানকি, তিতুরা, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধুলাবেগুন, আদাগুণগুণি নামেও ডাকে।