সাবেক সাংসদ আউয়াল রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্যে ছেলের সামনে শাহীন উদ্দিন (৩৩) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ বুধবার আউয়ালকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আউয়ালকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২১ মে এম এ আউয়ালকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২০ মে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মামলার প্রধান আসামি এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহীন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানোর কথা বলে ফোন করে ডেকে নেন। শাহীন মোটরসাইকেলে রাজধানীর পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছালে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান। এ সময় শাহীনের সাত বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে শাহীনকে চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। এরপর তাঁকে ওই বাড়ি থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ফের কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যান তারা।

আরও পরুনঃ-  মুফতি আমির হামজা ৫ দিনের রিমান্ডে

মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। অন্য আসামিরা হলেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরন আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু। আসামিরা সবাই পল্লবী থানা এলাকার বাসিন্দা।

সূত্রঃ- এনটিভি