শীতে শিশুদের বাড়তি সতর্কতায় যা জানা অত্যাবশ্যক

শিশু স্বাস্থ্য

শীত সমাগত। শীতের পিঠার ঘ্রানের স্বাধের সাথে সাথে শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার মাত্রা বেড়ে ভাজ পড়ছে কপালে। প্রিয় সন্তানের এই শীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ফুসফুস ও শ্বাসনালীর প্রদাহে।

সাধারন হাচি, কাসি জ্বর ছাড়াও এ্যাজমা, নিউমোনিয়ায় প্রকোপ বেশি হয় শীতের শুরুতে( Early Winter ও শীতের শেষের দিকে ( Late Winter) সাধারনত পরিবারে এলার্জির হিস্ট্রি রয়েছে এমন বাচ্চাদের হাসি, কাসি ও শ্বাসনালীর প্রদাহ জনিত অসুখ বেশি হয়। এই সময়ে খুব সকালে ও সন্ধার পর বাচ্চাদের ঘরের বাহিরে না রাখা উত্তম।

এই সময়ে নবজাতক ও অন্যান্য বাচ্চাদের প্রতিদিনই গোসল না করিয়ে মাঝে মধ্যে গ্যাপ দিয়ে গোসল করানো ভালো। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর একটার মধ্যেই গোসল শেষে শিশুর মাথা দ্রুত মুছে দেওয়া উচিত। গোসলের পর শিশুর গায়ে সরিষার তৈল, বেবি লোশন আদ্রতার ভিন্নতায় ত্বকের যত্নে উপকারী।

বেশি শীতে নবজাতকের হাতে পায়ে গ্লিসারিন ব্যাবহারও উপকারী হয়ে থাকে। এসময়ে বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত জ্বরে বাচ্চারা আক্রান্ত হয় বেশি। জ্বরের প্রথম তিনদিন প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধ দিয়ে জ্বরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তিন দিনের বেশি জ্বর হলে বা জ্বরের পাশাপাশি অন্য কোন লক্ষণ থাকলে অবশ্যই সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এ্যাজমার ইতিহাস রয়েছে যে বাচ্চাদের তাদের অন্য বাচ্চাদের তুলনায় অধিক সতর্কতায় রাখা উচিত। সকালের রোধ শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষায় উপকারী অবদান রাখে। এছাড়াও শীতের বিভিন্ন সবজি, মৌসুমি ফলমূল বাচ্চাদের এই শীতে বাড়তি সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

লেখক: ডা শফিকুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার, শিশু বিভাগ 
ইবনেসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
প্রতিষ্ঠাতা – গ্রীন হেলথ সেন্টার