ভারতের উত্তরাখন্ডে হিমবাহ ধসে প্রায় শত মৃত্যু

হিমবাহ ধসে

ভারতে উত্তরাখন্ডের চামোলি জেলায় একটি গ্লেসিয়ার বা হিমবাহ ধসে গিয়ে ভাটির বিস্তীর্ণ এলাকাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে একশো থেকে দেড়শো মানুষ নিহত হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরখণ্ডের চামোলি জেলায় নন্দাদেবী শিখরের কাছে এ হিমালয় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি স্থানীয় জলবিদুৎ প্রকল্পও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এক টুইট বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, উত্তরাখণ্ডের এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির আমি প্রতিনিয়ত নজর রাখছি।

তুষারধসে নদীর পানি পানির স্তর হু হু করে বাড়ছে। নদীর দু’ধারের অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসের সময় সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাদের কারও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে উত্তরাখন্ড রাজ্যের মুখ্য সচিব ওম প্রকাশ বার্তা সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, অ্যাভালাঞ্চ বা হিমবাহ ধসের পর যে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা হয়েছে তাতে অন্তত একশো থেকে দেড়শো মানুষ মারা গিয়ে থাকতে পারেন বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

‘ফ্ল্যাশ ফ্লাডে’ আরও বেশ কয়েকশো মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। বহু লোকের খোঁজ মিলছে না। এই বিপর্যয় আঘাত হানে রবিবার সকালে। হিমালয়ের নন্দাদেবী শৃঙ্গের কাছে একটি হিমবাহ বিষ্ফোরিত হওয়ায় তীব্র জলরাশি অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীতে আকস্মিক বন্যা ডেকে আনে।

ওই নদী দুটোতে জলস্তর হঠাৎ করেই বেড়ে যায় বেশ কয়েক মিটার। ভাটিতে যে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে, বন্যার প্রথম আঘাতটা সেখানেই আছড়ে পড়ে।

উত্তরাখন্ডের স্টেট ডিজ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (রাজ্য দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী) ডিআইজি ঋধিম আগরওয়ালকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দেড়শোরও বেশি কর্মীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

চামোলি জেলার ওই অঞ্চলে অনেকগুলো রেলপথ ও সড়ক নির্মাণ প্রকল্পেরও কাজ চলছে। সেখানে যে সব শ্রমিক ও কর্মচারীরা রয়েছেন, তাদের সুরক্ষা নিয়েও প্রবল উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের দুশো কর্মী ইতিমধ্যেই ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

আরো পড়ুন- দেড় বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট চালু

ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ)-র পাঁচটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে, যার চারটি গেছে দিল্লি থেকে, আর একটি দেরাদুন থেকে।