ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতীক বরাদ্দের দিনই স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহার আলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার ধামরাইয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়ার বানিশ্বর পশ্চিম পাড়া এলাকায় নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাষক মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন, তার ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাবু, ফুপাতো ভাই সাইফুল ইসলাম, কবির হোসেন সুরুজ, মো. আলমগীর, মো. ফরিদ ও গোপালসহ ১০ থেকে ১২ জন।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘আজ প্রতীক বরাদ্দের দিনই আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। আমি ও আমার ভাইসহ আত্মীয়স্বজন ওই এলাকার একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হচ্ছিলাম।
এ সময় আজহার আলীর লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমি ও আমার ভাইসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হই। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আজহার আলী আমাকে আগেই বিভিন্নভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গায়েব করা হবে। এদেশে কোনো স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকবে না।
তিনি প্রতীক বরাদ্দের আগেই হুমকি দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। এজন্য তাকে নোটিশও করেছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহার আলী বলেন, ‘আমি উপজেলায় আছি ভাই, খুব ব্যস্ত। আপনি পরে ফোন দিয়েন।’ এ কথা বলে তিনি ফোন রেখে দেন।
ধামরাই থানার পরিদর্শক আতিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরো পড়ুন : দেড়ঘণ্টা পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীরা জানলো পরীক্ষা স্থগিত!
আরো পড়ুন : লভ্যাংশ ঘোষণা করলো রানার অটোমোবাইলস
