চসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

অনেকটা উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশেই শুরু হয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত থাকা বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন।

বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ একটানা ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মেয়র পদে ৭ জন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ২২৫ জন।

নির্বাচনী আলোচনার শীর্ষবিন্দুতে থাকা দুই প্রধান মেয়রপ্রার্থী আওয়ামী লীগের এম. রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা) এবং বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ) দুজনই জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে ৬ষ্ঠবারের মতো নির্বাচন হচ্ছে আজ। আর আগে পাঁচ বছর দশ মাস আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো নির্বাচন। ৫ম নির্বাচনেও মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আ জ ম নাছির উদ্দীন ও বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলম।

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তারা হলেন- বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), আওয়ামী লীগের এম. রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহিদ মুরাদ (চেয়ার), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর (আম), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কেবল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী।

এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ২২৫ জন।

নির্বাচন কমিশন এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে ৭৩৫টি। এর মধ্যে ৭৩৩টি স্থায়ী ও ২টি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ৪ হাজার ৮৮৬টি।

চসিকের ৪১ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ আর নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।

নির্বাচনে পুলিশের ৭ হাজার ৭৭২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ২৫ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৪১টি দল দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও ৪১০টি মোবাইল টিম থাকবে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে ১৪০টি দল। পাশাপাশি ৩ হাজার ৮০০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে ৬৯ জন। এরমধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ২০ জন।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে রিটার্নি কর্মকর্তা বলেন, মোট ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৬১টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলোতে ৮ জন পুলিশ ও ১০ জন আনসার সদস্য মিলিয়ে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন।

সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ থাকবে ছয়জন এবং আনসার ১০ জন। ভোটগ্রহণে যাতে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আগের চেয়ে বেশি পুলিশ-আনসার সদস্য ভোটকেন্দ্রে থাকবে।

আরো পড়ুন- ট্রাকের ধাক্কায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত