গেলো ১৯ অক্টোবর থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ১৫ দিনব্যাপী ইসলামি বইমেলা চলছে। আগামী ৩ নভেম্বর এ মেলা শেষ হবে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) ইসলামি মেলায় গিয়ে দেখা যায় শেষ পর্যায়ে মেলা বেশ জমে ওঠেছে।
মেলায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পঢ়ার মত।
তাদের কাছে মেলায় আগমনের বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, প্রতি বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে বই মেলা শুরু হয়। কিন্তু সেখানে ইসলামি বই তেমন একটা পাওয়া যায় না। এজন্য আমরা এই ইসলামি বই মেলায় বই কিনতে ও ঘুরতে এসেছি। কারণ ইসলাম সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এ মেলায় আসা উচিত।
সারাটা সময় জুড়ে মেলার প্রাঙ্গন মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও মুখরিত ছিল। সন্ধ্যার পর মেলায় বই বিক্রি অনেকটা জমে ওঠে।
এদিকে ইসলামি বই মেলা প্রাঙ্গনে মূল ধারার কোনো গণমাধ্যম কর্মীদের চোখে পড়েনি। বরং মাদরাসা আর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা ফেসবুক এবং ইউটিউবে এ মেলায় প্রচার এবং প্রসার করে যাচ্ছেন।
সন্ধ্যার কিছু আগে মেলায় যোগ দেন বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি মেলায় যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বই বিক্রি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
শায়খ আহমাদুল্লাহ’র সঙ্গে যোগ দেন আরও এক ইসলামি আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। তারা দুজনে ইসলামি বই মেলায় যোগ দিয়ে প্রত্যেকটি স্টলে উপস্থিত হয়ে আগত ক্রেতাদের বই কেনার আহবান জানান।
আরও পড়ুন:- প্রভুর প্রকৃতি সাজে শরতের রূপে
এ সময় তারা বলেন, ইসলামকে জানতে হলে এ মেলায় আসতে হবে। ইসলামকে জানার জন্য বই পড়ার বিকল্প নাই। তবে বাছাই করে বই কিনতে হবে। যে বইতে বেশি তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়েছে এবং যারা বিতর্কিত কোনো বই লিখেন না তাদের বই কিনতে এবং পড়তে হবে।
দেশ সমাচার/ফরা