কুমিল্লার ঘটনায় অভিযুক্তকে ধরিয়ে দেন তিন ছাত্রলীগ নেতা

কুমিল্লার-ঘটনায়-অভিযুক্ত

কুমিল্লার ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কুমিল্লা মাজারের সঙ্গে যে মসজিদ, সেটা প্রসিদ্ধ মসজিদ। লোকটি (যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে) রাত ৩টার দিকে কয়েকবার (সেখানে) গিয়েছেন। সেখানে তিনি মসজিদের খাদেমের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা এ কাজে অভিজ্ঞ তারা নিশ্চিত হয়েছেন, ব্যক্তিটি মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ এনে রেখেছেন, এটা তারই কর্ম। আমরা যতটুকু দেখেছি, লোকটি কোরআন এনে মূর্তির কোলে রেখে মূর্তির গদাটি কাঁধে করে নিয়ে আসছে।

পুলিশকে সহযোগিতা করেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু, তার বন্ধু তারেক রায়হান ও সাজ্জাদুর রহমান অনিক।

সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযুক্ত ইকবালকে অনুসরণ করেন তারা। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সহযোগিতা নেন। মোবাইল ফোনে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু বলেন, তিন বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু সুগন্ধায় পরিচয় হয় ইকবাল নামে ছেলেটির সঙ্গে।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফা গল্প করেই তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি। পরে তার কথায় সন্দেহ হলে মূল ঘটনা জিজ্ঞেস করি। এরপর সে পুরো ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে। তারপর থেকে কীভাবে তাকে পুলিশে দেওয়া যায় সেই চিন্তা করতে থাকি।

মিশু আরও জানান, রাত ৮টার দিকে আমরা নিশ্চিত হই ইকবালই কুমিল্লার ঘটনার মূল অভিযুক্ত। তারপর পুলিশকে বিষয়টি জানাই। এখন ডিএসবি অফিসে আছি, এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাব বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

এদিকে গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২ পর্যন্ত তার অবস্থান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলামের কক্ষে ছিল। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাকে আরও কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপর কুমিল্লায় পাঠানো হবে।

আরো পড়ুন : এনার্জি প্যাকের পর্ষদ সভা ২৬ অক্টোবর