অবৈধ সম্পদ অর্জনে আলোচিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের ৭টি পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে কয়েকটি পাসপোর্টের নম্বর হলো— E0017616, AA1073252, BC0111070, BM0828141 ও 800002095।
এছাড়া, আরও দুইটি পাসপোর্ট রয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদফতরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদফতর। চিঠি দেওয়া হয় র্যাব সদর দফতরে। কিন্তু অবৈধ প্রভাব খাঁটিয়ে ব্যবস্থা করেন সব। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে নেন বিশেষ সুবিধা।
এছাড়া সাবেক এই আইজিপির পাসপোর্টে আড়াল করেছেন পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি।
এদিকে, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দুদক থেকে দুই দফা তলব করা হলেও তারা সংস্থাটির ডাকে হাজির হননি। তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। এর আগে তাকে গত ৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। বিদেশে অবস্থান করায় তিনি ওইদিন দুদকে হাজির হননি। পরে তিনি সময় চেয়ে আবেদন করলে তাকে ১৬ দিনের সময় দিয়ে রোববার ডাকা হয়।