ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ও খামের রাজনীতি

খামের রাজনীতি

অবৈধ কাজকে বৈধতা দেয়ার জন্য দেশে নানা ধরনের অনৈতিক লেনদেনের কথা প্রচলিত আছে । বিশেষ করে বেসরকারি ব্যাংকিং খাতে যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকার টাকার স্বার্থ জড়িত থাকে সেখানে অবৈধ এই লেনদেন বড় আকারে হয়ে থাকে। কোন কোনে ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এই লেনদেন আর্থিক খাতের অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করছে ।

ছোট ছোট অন্যায়কে আশ্রয় -প্রশ্রয় দিয়ে দেশের বড় বড় ব্যাংক এখন তারল্য সংকটে ভুগছে । ভূয়া ও বেনামী কোম্পানীর নামে লোন বিতরণ করে করে গ্রাহকদের আস্থার সংকটে পড়েছে দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক।

ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমান প্রতিনিয়ত বাড়ছে । ফলে আমানতকারিদের আস্থা সংকট বাড়ছে। ব্যাংকিং খাতের অবৈধ লেনদেনকে বৈধতা দেয়ার জন্য অনেকে একে ঘুষের উন্নত ভার্সন বা খামের রাজনীতি নামেও অভিহিত করছেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে এই “খামের রাজনীতি”র মুখরোচক আলোচনার সূত্রপাত হয় । তখন সংসদে এনিয়ে সরব ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন । ত্রিশ বছরেরও বেশী সময়ের আগের সেই খামের রাজনীতি এখন ব্যাংক সহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের অসৎ ব্যক্তিদের অবৈধ লেনদেনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ।

দেশের বেসরকারি কোন কোন ব্যাংকের অবস্থা এখন বেশ নাজুক। নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় ন্যাশনাল ব্যাংকের বর্তমান দূরাবস্থার জন্য একটি পরিবারকে দায়ী করেন ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞরা । ২০০৯ সালের পর একটি শিল্প গোষ্টির পরিবারের হাতে নিয়ন্ত্রণ যাওয়ার পর অযাচিত হস্তক্ষেপ ও বেনামী ঋনের নানা ঘটনা বেরিয়ে আসে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে ।

২০০৯ সালে যে ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪০০ কোটি টাকার কম, এখন তা বেড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে পাঁচটি ব্যাংককে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাদের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি। সর্বশেষ হিসাবে, ন্যাশনাল ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের ২৯ শতাংশই খেলাপি। গত দুই বছরে তাদের নিট লোকসান ৪ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতিতে গত তিন বছর যাবৎ বড় অঙ্কের ঋণ প্রদান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোর একটি এখন ন্যাশনাল ব্যাংক। ব্যাংকটিকে বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে একীভূত করার পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ন্যাশনাল ব্যাংক তাতে সায় দেয়নি। হঠাৎ করে গত ৫ মে এর পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটিকে সম্পূর্ণভাবে সিকদার পরিবারমুক্ত করা হয়েছে। নতুন পর্ষদে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বেশির ভাগ চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি। ফলে ব্যাংকটির মালিকানা নতুন করে কার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

১৯৮৩ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আজিজুর রহমান মল্লিক। ব্যাংকটিতে তাঁর কোনো শেয়ার না থাকার পরও উদ্যোক্তারা তাঁকে শুরুতে ১০ বছর চেয়ারম্যান পদে রেখেছিলেন। এরপর শেয়ারধারীরা ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তখনো ভালো ব্যাংক হিসেবেই ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচিতি ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি পরির্বতিত হয় ২০০৯ সালে।

ওই বছর ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন জয়নুল হক সিকদার। এরপর অন্য উদ্যোক্তারা ব্যাংকটি ছাড়তে একরকম ‘বাধ্য’ হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংক ছাড়াও বিমা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন, নির্মাণ, হোটেল, পর্যটন, এভিয়েশনসহ বিভিন্ন খাতে গ্রুপটির ব্যবসা বিস্তৃত করে। অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশে। ব্যাংকের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৩৮৮ কোটি টাকা, গত ডিসেম্বরে যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ সাবেক ব্যাংকাররাও। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন গনমাধ্যমকে বলেছেন , ‘সবার চোখের সামনে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করা হলো, কেউ কিছু করল না। ব্যাংকটিতে নিয়ম না মেনে নির্দেশিত ঋণ দেওয়া হয়েছে, অন্য সব সিদ্ধান্তও হয়েছে পর্ষদের নির্দেশে। আইনকানুন মানার কোনো বালাই ছিল না। সুশাসনের প্রচণ্ড রকম ঘাটতি ছিল ব্যাংকটিতে।’

সম্প্রতি ৬ মে ( সোমবার ) ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ সংবাদ সম্মেলন করেন। ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ৬ মে এই সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন , ”আপাতত অন্যকোনো ব্যাংকের সাথে একীভূত হবে না বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এনবিএল । তিনি দাবি করেন , আগে যা হওয়ার হয়েছে, আর কোনো লুটপাট হবে না। ব্যাংক থেকে যারা টাকা নিয়েছেন , তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। এক বছরের মধ্যে ব্যাংকটিকে আমরা আগের অবস্থানে নিতে পারবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন তিনি ।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করা শুরু করলে চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা সব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উঠে যান। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের সাথে বৈঠক আছে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে স্থান ত্যাগ করেছেন তারা । সংবাদ সম্মেলন শেষে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের হাতে নাশতার প্যাকেট তুলে দেন। প্যাকেটটি নেওয়ার পর দেখা যায়, তার ভেতরে ‘পাঁচ হাজার টাকা’ ভর্তি খাম।

এটি দেখার পর সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নাশতার প্যাকেট ফেরত দিয়ে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান। এ বিষয়ে সেখানে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক বলেন, যে ব্যাংকের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা লুটপাটের অভিযোগ আছে, তারাই আবার সংবাদ প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের অগোচরে টাকার খাম দিতে চাচ্ছে, এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক।

ন্যাশনাল ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের পরেই সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের নাশতার প্যাকেটে ১০ হাজার টাকার খাম দেওয়ার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। তবে ব্যাংকটিতে টাকার (তারল্য) ঘাটতি থাকায় ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে পাঁচ হাজার টাকার খাম দেওয়া হয়।

প্রশ্ন হলো বিশিষ্ট শিল্পপতি খলিলুর রহমান একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি । চট্রগামে গার্মেন্টস শিল্প সহ নানা শিল্পে তার বিনিয়োগ রয়েছে। তার মত একজন দায়িত্বশীল শিল্পপতির সংবাদ সম্মেলনে খামের ভিতরে টাকা বিতরনের ঘটনায় অনেকেই বিব্রত হয়েছেন।
প্রসঙ্গক্রমে একটি ঘটনা মনে পড়ে যায় ।

১৯৯০ সালের গন অভ্যূত্থানে এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে বিএনপি ।বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ বিএনপি ও ছাড়াও জাতীয় পার্টি ও বাম পন্থী রাজনতিবিদদের প্রতিনিধি জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। জাতীয় সংসদের প্রতিটি অধিবেশন ছিল বেশ সরব ও প্রানবন্ত ছিলো । ওয়াক আউট, পয়েন্ট অব ওর্ডার , হ্যাঁ না ভোটের কন্ঠ কতকিছু।

একদিন ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন ফ্লোর নিয়ে , তার বক্তব্যে বলেন ,মাননীয় স্পিকার দেশে এখন খামের রাজনীতি চলছে ! সংক্ষেপে বলতে গেলে তিনি ঘুষের কথা বলেছিলেন । বেশ জমেছিল সংসদ অধিবেশন ।
নব্বইয়ের দশকে সাংবাদিকতা পেশায় আসার পর জাতীয় প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন জায়গায় সংবাদ সম্মেলন, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ কভার করেছি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে চা সিঙ্গারা, সমুচা, কেক, বিরানী তেহারি , কত পদের খাবার বিতরন করতে দেখেছি। আমার মতো অনেক রিপোর্টার সেই নাস্তা নিয়েছি , খেয়েছি। আবার বিশেষ করে এনজিও কিংবা কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সংবাদ সম্মেলন শেষে খামের ভিতরে ৫শ , এক হাজার টাকাও দিয়েছেন ।

কোন কোন প্রতিষ্ঠান খাম বিতরন করতে গিয়ে স্বাক্ষর রেখেছেন , তখন অনেকেই দেখেছি প্রতিবাদ করতে , সেই খাম না নিতে । আবার কেউকেউ নিয়েছেনও । যারা নেন নাই , তাদের উদ্দেশ্যে যারা নিয়েছেন তারা বলতেন , আপনি নিলেন না কেন? এই টাকা তো তাদের বাজেট সাংবাদিকদের জন্য । আপনি না নিলেও তারা নিজেদের পকেটে ডুকিয়ে বলবে স্যার ”এতোজন “ সাংবাদিকের মাঝে বিতরণ করেছি । ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক বলবে , ঠিক আছে বেঁচে গেছি। আবার কোন কোন অনুষ্ঠানে রিপোর্টারদের সমস্বরে প্রতিবাদ করতেও দেখেছি।

ন্যাশনাল ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনে যে সব রিপোর্টার সাহসীকতার সাথে খামের রাজনীতির প্রতিবাদ করেছেন , তাদের সাধুবাদ জানাই ।

বর্তমান সময়ে প্রায়ই সাংবাদিক ও গনমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্য করে কোন কোন মহল তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য মন্তব্য করেন । সেই সেই সময়ে যখন ন্যাশনাল ব্যাংকের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা র খবর নানা পত্রিকায় ও মিডিয়ায় আসছে , তখন খামের রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যে সব সৎ ও মেধাবী রিপোর্টার নিজেদেরকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে জড়ান নি তারা অবশ্যই সাধুবাদ পাবার যোগ্য। । তারা শুধু নিজের জন্য নয় দেশের ব্যাংকিং ও অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের সততার প্রশংসা করে বলবো কোন কোন অসৎ সাংবাদিক হয়তো বলবে –” আরে মিয়া কম টাকা দিয়েছে বলে নেন নি । দশ হাজার দিলে তো নিতেন । সততার বাহাদুরি করেন ”ইত্যাদি ।আবার অনেক সৎ সাংবাদিককে দেখে কোনে কোনো অসৎ সাংবাদিক বলবেন , আরে মিয়া সে তো সুযোগের অভাবে সৎ । এমন অনেক কথা তিন দশকের পেশাগত জীবনে অনেক শুনেছি , এখনো শুনছি ।

আমি মনে করি, যে সব পেশাদার ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক ব্যাংকিং খাত , শেয়ারবাজার সহ আর্থিক খাতে নানা অনিয়ম, লুটপাট ও ভাগ ভাটোয়ার নিজেদেরকে না জড়িয়ে সততা ও সাহসিকতার সাথে পেশার মর্যাদা রক্ষা করে চলছেন, তারা অবশ্যই দেশের গর্ব । সততার এই ধারা লেখনির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকরা অব্যাহত রাখতে পারলে দেশের আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের লুটেরাদের দৌড়াত্ন কিছুটা হলেও কমবে ।

ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমান ঋণ গ্রহন ও বিতরনের সহজ পথ বন্ধ হবে। সাংবাদিকদের লেখালেকির কারণে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা – বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের ওপর নজরদারি বাড়াবে। আর তাতে আর্থিক খাতের অনিয়ম, আর অব্যবস্থাপনার ফাঁক ফোকর কিছুটা হলেও বন্ধ হবে। ফলে দেশের ব্যাংকিং খাত সহ আর্থিক খাতের কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।

সেই সাথে বন্ধ হবে অসৎ ব্যাক্তিদের অনৈতিক ও অবৈধ লেনদেন নামক খামের রাজনীতি । এই ক্ষেত্রে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্ট ফোরাম তাদের সদস্যদেরকে দেশের আর্থিক খাতের যে কোন ধরনের অনিয়ম ও অবৈধ লেনদেনের বিরুদ্ধে কঠোর লেখনী অব্যাহত রাখার তাগিদ দিতে পারেন।

লিখেছেন : আবু দারদা যোবায়ের, সিনিয়র সাংবাদিক