বর্তমানে থাইরয়েডে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই অসুখ থেকে পরবর্তীতে আর অনেক অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থেকে যায়। তাই শুরুতেই এটি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এই সমস্যা থেকে সুস্থ থাকতে চাইলে পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাপন ও খাবারের তালিকায়। সেজন্য থাইরয়েডে উপকারী খাবার বেছে নিতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক থাকলে কোন উপকারী খাবারগুলো খেতে হবে-
সেলেনিয়ামযুক্ত খাবার
সেলেনিয়াম পাওয়া যায় ব্রাজিল বাদাম, ঝিনুক, সার্ডিন এবং স্যামন ফিশে। থাইরয়েডের সমস্যা সমাধানে আপনাকে সাহায্য করবে এই উপকারী উপাদানযুক্ত খাবারগুলো। তবে খেতে হবে মাত্রা ঠিক রেখে। আপনি যদি এ ধরনের খাবার খুব বেশি খেয়ে ফেলেন তখন কিন্তু আবার তা থাইরয়েডের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে।
আয়োডিনযুক্ত খাবার
আমাদের সুস্থতার জন্য আয়োডিন গ্রহণ করা জরুরি। আবার থায়রডের সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রেও আয়োডিন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। বিভিন্ন ধরনের মাছ, চিংড়ি এবং ডিমে পাওয়া যায় এই উপাদান। তাই শরীরে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে এ ধরনের খাবার রাখতে হবে প্রতিদিনের তালিকায়। আয়োডিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।
জিঙ্ক
আমাদের শরীরের জন্য আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো জিঙ্ক। এই উপাদানের অভাবে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিঙ্কের অভাবে শরীরে হাইপোথাইরয়েডিজম দেখা দিতে পারে। তাই যেসব খাবারে এই উপকারী উপাদান রয়েছে তা নিয়মিত খেতে হবে। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে বড় উৎস হলো সূর্যের আলো। এছাড়া বিভিন্ন খাবার থেকেও কিছু ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সেসব খাবারের মধ্যে রয়েছে স্যামন ফিশ, মাশরুম, ডিম ইত্যাদি। এ ধরনের খাবার নিয়মিত খেতে পারলে তা আপনাকে হাইপোথাইরয়েডিজমের মতো থাইরয়েড সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।
ভিটামিন বি
আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনের একটি হলো ভিটামিন বি। এই ভিটামিনযুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে তা থাইরয়েড থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে। এছাড়াও খেতে হবে ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার। ম্যাগনেসিয়াম পাবেন কুমড়োর বীজ, তিল এবং বাদামের মতো খাবারে। এগুলোও নিয়মিত খেতে হবে।
