সমাজিক দায়িত্ব পালনে প্রাকৃতিক সূত্র: ড. আবু সিনা ছৈয়দ তারেক

নিউজ ডেস্ক: একজন ব্যক্তি যদি নিজেকে প্রকাশ করতে (Expose)বা তার প্রতিভা, অস্তিত্ব, জনসম্মুখ্যে প্রকাশ করতে চায়, তাহলে যত কঠিন বাধাই তার সামনে আসুক না কেন সে নিজের প্রতিভা, অস্তিত্ব প্রকাশ করতে সক্ষম হবেই।

প্রয়োজন শুধু লক্ষ স্থির করা (Vision)এবং সে লক্ষ অর্জনের জন্য সহায়ক কর্মকান্ডগুলো (Mission) চালিয়ে যাওয়া। সুনামগঞ্জ জেলার, তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাটের এ গাছটিই তার প্রকৃষ্ট উদাহরন। একটু লক্ষ করলেই দেখবেন, গাছটি কত কঠিন বাঁধা অতিক্রম করে বেড়ে উঠেছে।

যেহেতু গাছটি এখন ছায়া দিচ্ছে, সেহেতু জনগণের কাছে মেশিন নয়, গাছটিই এখন বেশী প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। তদ্রুপ, যে ব্যক্তি কঠিন বাঁধা অতিক্রম করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, সে মাথা উঁচু করে যেমন সমাজে অবস্থান করতে পারবে, তেমনি সমাজের প্রয়োজনেও নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারবে। আপনি মনে রাখবেন, সমাজের মানুষ কোন না কোন ভাবে আপনার বেড়ে উঠার প্রতিবন্ধকতাগুলো দুর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

গাছটি বেড়ে উঠার সময় কেহ যদি ঐটিকে তুলে ফেলতো, তার বেড়ে উঠায় বাধা দিত, তাহলে গাছটি এ পর্যায়ে আসতে পারতো না। তেমনি আপনি যখন বাঁধাগুলো অতিক্রম করার জন্য যুদ্ধ করছিলেন, সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন কেউ কেউ আপনাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে, সাহায্য করেছে। তাই আপনার প্রতিষ্ঠা পাওয়া ক্ষেত্রে সমাজের মানুষের অবদান কখনোই অস্বীকার করা যায় না।

প্রকৃতিকে তার নিজের মত করে থাকতে দিলে, প্রকৃতি যেমন মানুষকে প্রতিদান দেয়, ঠিক তেমনি আপনার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সমাজের মানুষের কোন না কোন অবদান যেহেতু ছিল, তাই আপনারও দায়িত্ব প্রকৃতির মত সমাজের ঋন পরিশোধ করা। এটি প্রাকৃতিক নিয়ম। আসুন, বেড়ে উঠার বাঁধাগুলো জয় করে দীপ্ত তেজে এগিয়ে যাই এবং পরিবারের পাশাপাশি সমাজের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করি।

লেখক: ড. আবু সিনা ছৈয়দ তারেক
সহযোগী অধ্যাপক
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ