বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি

সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে হত্যার ক্ষত এখনও যায়নি আর সে অবস্থাতেই আবারও নোয়াখালীর বসুরহাটে সংঘাতে ঝরলো আরেক প্রাণ। ভয়াভহ এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (১০ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বসুরহাট পৌরসভা মেয়র নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে আবারও তীব্র সংঘর্ষ ১ জন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে নতুন করে যাতে সহিংসতা ঘটতে না পারে সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে নিহত ব্যক্তির নাম আলাউদ্দিন (৩২)। তিনি চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের মমিন উল্যাহর ছেলে। তবে তিনি কোন পক্ষের তা জানা যায়নি।

অন্যদিকে গুলিবিদ্ধের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন হৃদয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। অন্য আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির নেতৃত্ব নিয়ে সংঘাতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে এবংকোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের গত সংঘাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন।

আরও পড়ুন- কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম স্থগিত

প্রসঙ্গত: গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এই দুই দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দু’দলের মাঝখানে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ ১৫ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় বিবদমান পক্ষ দুটি পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের নেতাদের কাউকে পুলিশ এখনও গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে খোঁজেনি।