আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হচ্ছে আজ। কণ্যা-জায়া-জননী। কিন্তু নারী এখন আর এর মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বের অগ্রগতিতেও নারীদের অসামান্য অবদান। দেশ পরিচালনা থেকে শুরু করে শিক্ষা-স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি কিংবা জননিরাপত্তা সবক্ষেত্রেই নারীর জয়জয়কার। জয় করছে মহাকাশও। নারী দিবসে তাদের চাওয়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তিসহ উন্নয়নমূলক সব খাতে নারী নেতৃত্ব বাড়ানো।
১৯০৮ সালে আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি পোশাক শ্রমিকদের সম্মান জানাতে ধর্মঘটের ডাক দেন। এর পরের বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক ভাবে প্রথম নারী দিবস পালন করা হয়। যদিও ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে নারী দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে নিজেদের অধিকার আদায়ে নানা মুখি পদক্ষেপ নিয়ে আসছেন নারীরা এবং পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ।
ঘরে কিংবা বাইরে সব ক্ষেত্রে সমান তালে বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ। নিজেদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি সমাজ পরিবর্তনে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ঘরের চৌহদ্দি পেরিয়ে কেউ দাপাচ্ছেন খেলার মাঠ, কেউ ব্যস্ত জননিরাপত্তায়। প্রযুক্তিক্ষেত্রেও অবদান রাখছেন আজকের নারী। যা সমৃদ্ধ করছে আমাদের বিশ্ব, সহজ করছে পথচলা।
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে এই প্রজন্মের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে খুব দ্রুত। কিন্তু এখনও বেশির ভাগ জায়গায় পুরুষ কর্তৃত্ব বজায় রয়েছে। যা ভাংতে হবে। শিক্ষা, স্বস্থ্য থেকে শুরু করে সমাজের সবক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও রাজনীতিতে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে। ক্ষমতায়ন বাড়লে কমবে নারীর প্রতি সহিংসতা এমনটাই মনে করেন পিছিয়ে থাকা এই জনগোষ্ঠী।
আরো পড়ুন- দেশের বিবাহিত পুরুষদের বেশিরভাগই ‘নির্যাতনের শিকার’