কৃষিঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে জামানতের পরিবর্তে কৃষি কার্ড বা স্থানীয় পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের ‘প্রত্যয়নপত্র’কে আমলে নেওয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষিঋণ বিতরণের পরিসংখ্যানকে ঢেলে সাজিয়ে এর সঙ্গে শস্য, কৃষকশ্রেণি ও অঞ্চলভিত্তিক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে কৃষিঋণ বিতরণের পরিসংখ্যান প্রণয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কৃষকদের প্রাতিষ্ঠানিক কৃষিঋণ সহায়তা কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষকের কাছে ঋণসুবিধা কীভাবে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) কী ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের ঋণপ্রাপ্তি সহজলভ্য করতে ডিএই, মাঠ দিবস উদযাপন ও কৃষক প্রশিক্ষণের মডিউলে ‘কৃষিঋণ’ বিষয়কে অন্তর্ভুক্তকরণ ও স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে আমন্ত্রণ, বিএডিসি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি/প্রকল্পের আওতায় যেসব ‘কৃষক গ্রুপ’ রয়েছে- তাদের সঙ্গে ব্যাংকের সংযোগ বাড়ানো, দেশে কৃষিঋণের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণে সমীক্ষা পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় আলোচনা সভায়।
কৃষিঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে জামানতের পরিবর্তে ‘কৃষি কার্ড’ বা স্থানীয় পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের ‘প্রত্যয়নপত্র’কে আমলে নেওয়ার কথা বলা হয়।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, কৃষকের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ঋণসুবিধা সহজ করতে পারলে তাদের চাহিদা পূরণ হবে। ফলে কৃষির পুরো সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়ানো যাবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।
সভায় জানানো হয়, দেশে ক্রমশ কৃষিঋণের পরিমাণ বাড়ছে। ২০০১ সালে কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ২০ কোটি টাকা (৩০.২০ বিলিয়ন টাকা), বেড়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো প্রদত্ত মোট ঋণের অনুপাতে কৃষিঋণের পরিমাণ কমেছে। ২০০১ সালে মোট ঋণের ৪ দশমিক ৬৮ ছিল কৃষিঋণ, যা কমে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুন- সার রপ্তানিতে নেপালে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত