ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে কী হয়?

ক্যালসিয়ামের
অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মতোই ক্যালসিয়ামের ঘারতি মানবদেহের  জন্য অপূরণীয়। মানবদেহের  জন্য ক্যালসিয়াম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সব রোগ।

ক্যালসিয়াম পাবেন যেসব খাবারে
দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দুধ, পনির এবং দই, ফর্টিফায়েড খাদ্যশস্য, সামুদ্রিক মাছ, মটরশুঁটি, ডুমুর, ব্রকলি, সয়াদুধ, পালং শাক আমন্ড,আখরোট, বিভিন্ন প্রকার বাদাম এবং তিলের বীজে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম।

ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ

রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকলে হাইপোক্যালসেমিয়া হয়। সাধারণত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রোগ হিসেবেই এটি পরিচিত। দীর্ঘমেয়াদি ঘাটতির কারণে দাঁতের সমস্যা, ছানি, মস্তিষ্কের জটিলতা দেখা দিতে পারে। হতে পারে অস্টিওপোরোসিস, যার ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়। হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে হয় সিংহভাগ মানুষকেই। আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান, আবহওয়া, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টি নিশ্চিতকরণে অজ্ঞতার কারণেই মূলত ৪০ এর পর থেকেই দেখা দেয় সমস্যাগুলো।

আরও পড়ুনঃ- রক্তচাপ নিয়ে ৫ ভ্রান্ত ধারণা

সাধারণত ২৪-২৫ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়তে পারে। Bonedensity বা হাড়ের ঘনত্বের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশ ঘটাতে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় নূন্যতম ৫০০-৬০০ গ্রাম ক্যালসিয়াম সরবরাহ থাকতে হবে। এছাড়া ভিটামিন ডি এর স্বল্পতা, হাইপোপ্যারাথাইরয়েডিজম, ম্যাগনেসিয়ামের উচ্চ এবং স্বল্প মাত্রা, কেমোথেরাপি রোগীর ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ঘাটতি তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা দিতে পারে।