বন্যায় প্লাবিত হয়েছে চাঁদপুর জেলা। শহর এবং গ্রামে সর্বত্রই ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ৫ আগস্ট বুধবার বিকেলে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পুরো জুড়ে জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে হঠাৎ করে চরম বিপাকে পড়েছে গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
বুধবার বিকেলে থেকে ধীরে ধীরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার পানিতে পরিণত হতে দেখা গেছে। রাত সাড়ে ৮ টায় শহরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়। এর মধ্যে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, চিত্রলেখা মোড়, হাজী মহসিন রোড, চাঁদপুর হাসান আলী স্কুল মাঠ, মিশন রোড, পালপাড়া, ঘোষ পাড়া, নতুন বাজার, গুয়াখোলা প্রফেসর পাড়া কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক স্টান্ড রোড , ট্রাক রোড এবং শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক সহ শহরের বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা এবং বিভিন্ন সড়কগুলো বন্যার পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়। এতে করে ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
আরও পড়ুন- নেত্রকোণায় নৌকাডুবি, নিহত ১৭
হঠাৎ করে শহরের সড়ক গুলোতে বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় অনেক সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে শহরের আদালত পাড়া, রহমতপুর কলোনি, প্রফেসর পাড়াসহ পুরানবাজারের বিভিন্ন এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়। এ ছাড়া রাস্তার ওপর দিয়ে পানি উঠে প্লাবিত হয়েছে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী, হাইমচর সদর ও নীলকমল ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের বসতঘর।
এদিকে এদিন রেকর্ড পরিমান পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাম অঞ্চলের বহু পরিবার প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে বেড়িবাঁধের সড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে চাঁদপুরে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। শহর জুড়ে পানিতে প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই এটিকে ৮৮ কিংবা ৯৮ এর মতো ভয়াবহ বন্যার আশংকা বলে ধারনা করছেন।
আরও পড়ুন- চট্টগ্রাম সিটি পেল নতুন প্রশাসক