গাড়িতে নামাজ পড়বেন যেভাবে

গাড়িতে নামাজ পড়বেন

মুসলমানদের দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক সময় দূরের যাত্রায় যানবাহনে মধ্যেই নামাজের সময় হয়ে যায়। কখনো হয়তো রাস্তার পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে হয় আবার কখনো নামাজ পড়ার ‍জায়গা পাওয়া না গেলে তখন কিভাবে নামাজ পড়তে হয় সেসব নিয়ম অনেকের অজানা। যানবাহনে যাত্রার সময় নামাজ আদায়ের দুটি রকমের হতে পারে—

এক. গাড়ি থেকে বার বার ওঠানামা কষ্টকর মনে হলেও নামাজ কাজা করা যাবে না। বরং নামাজের সময়গুলোতে বাস থামিয়ে নিচে কোনো স্থানে কিয়াম ও রুকু-সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায় করে নেবে।

এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- অনেক সময় পুরুষরা বাস থামিয়ে নামাজ পড়লেও নারীরা পর্দার কারণে কিংবা লজ্জার দরুন নামাজ পড়েন না। অথচ এটা গোনাহের কাজ। তারা যথা নিয়মে ওজু করে মসজিদের একপাশে বা অন্য কোনো স্থানে বোরকা পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করে নিতে পারেন। পাশাপাশি তাদের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক নামাজের স্থান রাখা অন্যদের কর্তব্য।

দুই. যানবাহান যদি থামানো না যায় কিংবা যানবাহন থেকে নামলে সঙ্গী ও বাস চলে যাওয়ার এবং পরবর্তীতে সে বাসে আর উঠতে না পারার আশঙ্কা থাকে— তবে বাসে নামাজ পড়া জায়েজ। এ ক্ষেত্রে সুযোগ থাকলে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে নিতে হবে। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেউ বসে নামাজ পড়লে, তার নামাজ হবে না।

দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সময় পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে, কিছুতে হেলান দিয়ে দাঁড়াতে হবে। কারণ হাত বাঁধা সুন্নত আর দাঁড়ানো ফরজ। তাই ফরজ রক্ষার্থে সুন্নতের ক্ষেত্রে শিথিলতা মার্জনীয়। পক্ষান্তরে দাঁড়ানোর কোনো রকম সুযোগ না থাকলে, বসে ইশারা করে নামাজ পড়ে নিতে হবে। পরে এই নামাজ আর পুনরায় পড়তে হবে না।

যানবাহনে নামাজ পড়ার সময় যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে কেবলামুখি হতে। যদি গাড়ি কেবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায়,  তবে নামাজে থাকা অবস্থায় কিবলার দিকে ঘুরে যেতে হবে। যদি সম্ভব না হয়,  তবে যেদিকে মুখ থাকে, সেদিকে মুখ রেখেই নামাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কেবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় না করলে নামাজ পরে আবার পড়ে নেওয়া আবশ্যক। আর কেবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় করলে,  পরে তা আবার আদায় করতে হবে না।

প্রসঙ্গত, যদি অজু না থাকে এবং অজুর পানিও না থাকে— তাহলে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করে নিতে হবে। তবে এই নামাজ পুনরায় পড়তে হবে না। আর যদি তায়াম্মুম করারও সুযোগ না থাকে, তবুও ইশারায় নামাজ পড়ে নিতে হবে। অবশ্য পরে এই নামাজের কাজা করতে হবে।

আরো পড়ুন- জুমার দিনের ফজিলত