মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র বহাল, রায়ে ‘স্থিতাবস্থা’

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সিদ্ধান্ত জানায়। চার সপ্তাহ পর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

গত পাঁচই জুন নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট।

কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই রায় দেয়া হয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ লিখিত আদেশ না পাওয়ায় শুনানি কয়েকদিন পিছিয়ে বুধবারে ধার্য করা হয়েছিল।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ বুধবার ১০ম দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যা সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ নামক এই কর্মসূচিতে শুরুতে শুধুমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজগুলোর অংশগ্রহণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে।

এই আন্দোলনের সমন্বয়করা জানিয়েছেন, গতকালের মতো আজও শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, সাইন্সল্যাব, কারওয়ানবাজার, শ্যামলী, বকশীবাজার, গুলিস্তান, পল্টন, রামপুরা ব্রিজ, ফার্মগেট, মহাখালীসহ ঢাকার অন্তত ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জড়ো হচ্ছে।

এদিকে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোতে শিক্ষার্থীরাও এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টার মাঝেই অবস্থান নেওয়া শুরু করেছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন না।