হঠাৎ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে আজ (৮ জুলাই ২০২৪) দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে দপ্তর কক্ষে চলে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বেলা দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। তারা দুইজনও যোগ দেন বৈঠকে। বৈঠকে আসতে দেখা গেছে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াকে।
বৈঠকে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ, আইনগত দিক ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা আপিল করলাম, এখনও আদালত চূড়ান্ত রায় দেননি। এখানে আমরা কীভাবে ইন্টারফেয়ার করি? জনদুর্ভোগ হয় এমন আন্দোলন পরিহার করা উচিত। আদালতের রায় হোক তারপর দেখা যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও তার সমমনারা কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা প্রকাশ্যে সাপোর্ট করেছে, এর মানে তারা এর মধ্যে অংশগ্রহণও করছে। কাজেই এখন এটা পোলারাইজড পলিটিক্সের মধ্যেই পড়ে গেছে। এটার পলিটিক্যাল কালার আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানে কারা কারা যুক্ত আছে, কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা সেটা আন্দো-েলনের গতিধারার মধ্যেই বোঝা যাবে। সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোনও কিছুই লুকানো সম্ভব হবে না, সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, স্কিম মুখ থুবড়ে পড়বে কেন? এখানে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগও আছে। আনুষ্ঠানিক বসা হয়তো হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে। এখানে আমলা সুপিরিয়র না শিক্ষক সুপিরিয়র সে বিতর্কে আমরা যাবো না। যার যার পদমর্যাদার ভিত্তিতে যেটা বাস্তবসম্মত আমরা সেটাই করতে চাই।