গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩৪৭৩৫

গাজায় হামলা

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব থামছেই না। প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালানো হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাফায় রাতভর হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। খবর আল জাজিরার।

প্রস্তাব মেনে নেওয়ার বিষয়টি মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের যেসব দাবি রয়েছে এই প্রস্তাবে সেসব নেই। কিন্তু তারপরেও ইসরায়েলি সরকার আলোচনার জন্য কায়রোতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।

তবে ইসরায়েলের যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রিসভা রাফায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শহরের পূর্ব দিকের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার ঘোষণা দিয়েছে।

হামাসের এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেছেন, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। সেখানেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি ঝুলে আছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে হামাসের প্রতিক্রিয়া পেয়েছে ইসরায়েল। এটি এখন তারা খতিয়ে দেখছে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

এদিকে যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গাজার বাসিন্দারা। রাফা থেকে গাজার এক বাসিন্দা আল জাজিরাকে বলেন, আমরা আশা করি আল্লাহ এটি সহজ করবেন। আমরা আমাদের বাড়ি ফিরে যেতে পারবো। আরেক ফিলিস্তিনি বলেন, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং গাজার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমরা তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

অন্য এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে স্বাধীনতা পেতে চাই। পশ্চিম তীরে আগ্রাসন বন্ধ চাই। আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধান চাই, শুধু সামরিক সমাধান নয়।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সাত মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছেই। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৩৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার ১০৮ জন।