শেয়ারবাজারে বড় ধরণের পতন

শেয়ারবাজারে বড় ধরণের পতন

দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরণের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। এই পতনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্কিট ব্রেকারকে দায়ী করছেন বিনিয়োগকারীরা।

তারা বলছেন, সার্কিট দিয়ে বাজারের পতন ঠাকানো সম্ভব নয়। বরং এই নির্দেশনা পতনকে আরও দীর্ঘায়িত করবে। এতে করে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনে প্রতিদিনই নি:স্ব হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলো। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য শেয়ারের দর কমার উপর নতুন সার্কিট ব্রেকার আরোপ করে সংস্থাটি। ইতিবাচক হওয়ার পরিবর্তে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারে। দুপুর ১ টা পর্যন্ত সূচক কমেছে ৭৬ পয়েন্ট।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর আগেও শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছিলো কমিশন। ওই সময়ে এটি কোন কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পরেনি। সেই জিনিস আবারও নতুন করে দিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল,২০২৪) বিএসইসি সার্কিট ব্রেকার সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে। ওই আদেশে বলা হয়, একদিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। এরচেয়ে কম মূল্যে কেউ শেয়ার বিক্রি বা কিনতে পারবে না।

এর আগে শেয়ারের বাজারমূল্যের আলোকে মূল্য সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারতো। তবে মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আগের সীমা-ই বহাল আছে। শেয়ারের আগের দিনের বাজার মূল্যের আলোকে পরদিন মূল্য সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে।