সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের ১৩.৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) হাইব্রিড পদ্ধতিতে সেনা গৌরব হল এসকেএস টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ ২০২৪) সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. হাবিব উল্লাহ এসজিপি, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউ, পিএসসি, এমফিল। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে ২০২৩ সালের জন্য ১৩.৫০% শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড  অনুমোদনসহ আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন পরিচালক পরিষদের প্রতিবেদন, স্থিতিপত্র, লাভ লোকসান হিসাব ও অডিট প্রতিবেদন, পরিচালক নির্বাচন, অডিটর নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম, পিএসসি (অব.)সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। অংশগ্রহণকারী বিনিয়োগকারীবৃন্দ কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আগামিতে লভ্যাংশ বৃদ্ধি পাবে এমনটাই প্রত্যাশা করে কোম্পানির ধারাবাহিক সাফল্য কামনা করেন। সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব সাজেদুল ইসলাম এফসিএস। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম (অব.) বলেন, অতি সম্প্রতি সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স উদিয়মান শ্রেষ্ঠ নন-লাইফ কোম্পানি হিসেবে (আরটিভি বীমা এওয়ার্ড-২০২৩) লাভ করেছে। এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে মূলত দুটি মুখ্য কারণে একটি হলো জনকল্যানমুলক পরিকল্পনা গ্রহন এবং অন্যটি হলো কম্পøায়েন্

মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম (অব.) বলেন, অতি সম্প্রতি সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স উদিয়মান শ্রেষ্ঠ নন-লাইফ কোম্পানি হিসেবে (আরটিভি বীমা এওয়ার্ড-২০২৩) লাভ করেছে। এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে মূলত দুটি মুখ্য কারণে একটি হলো জনকল্যানমুলক পরিকল্পনা গ্রহন এবং অন্যটি হলো কম্পøায়েন্স নিশ্চিত করা। যদি আমরা এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতে পারি তবে খুব শীঘ্রই আমরা ননÑলাইফ সেক্টরে সেরা কোম্পানি হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কৃষি ও গবাদি বীমা চালুর পরিকল্পনার কথা জানান। চতুর্থ প্রজন্মের উদীয়মান সেরা কোম্পানির ঈর্ষণীয় সাফল্যে বিস্মিত বিনিয়োগকারীরা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত বছরে প্রতিষ্ঠানটির গ্রস প্রিমিয়াম ৯৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং নিট প্রিমিয়াম হয়েছে ৪২ কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের বছর গ্রস প্রিমিয়াম ছিল ৮০ কোটি ৬ লাখ টাকা, নিট প্রিমিয়াম ৩৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে অবলিখন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা যা আগের বছর ছিলো ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। যার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.২৩ শতাংশ। ২০২৩ অর্র্থ বছরে করপূর্ব ও কর পরবর্তী মুনাফার বিগত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ।

আলোচ্য বছরে করপূর্ব ও কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে যথাক্রমে ১৫ কোটি ২ লাখ টাকা এবং ১৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং ১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এদিকে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুয়িটি ২০২২ সালে যেখানে ছিলো ৮০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা তা বেড়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ২০২৩ অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা ২০২২ সালে ছিল ১৪৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা টাকা।

সমাপ্ত বছরে প্রতিষ্ঠানটির এমন ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) বৃদ্ধি পেয়েছে। আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩.৪২ টাকায়, যা আগের বছর ছিল ২.৮৬ টাকা এবং এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২০ টাকা ১৭ পয়সা। বছর সমাপান্তে ব্যবসায়িক এমন পরিসংখ্যানের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৩.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদনসহ আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালক নির্বাচন, অডিটর নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণসহ যাবতীয় আলোচ্যসূচি শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদিত হয়।