শেয়ারবাজার টেকসই করতে ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের সাত প্রস্তাব

ব্রোকার্স এসোসিয়েশন

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শেয়ারবাজারে পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত শীর্ষ ত্রিশ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় করেছে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।

আলোচনায় অংশ নেয়া প্রতিনিধিরা সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা মনে করেন, বাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার মত উল্লেখযোগ্য কোন কারন নেই। তবে কারো কারো মতে, শেয়ার দরের উপর থেকে ফ্লোর তুলে নিলে এমনিতেই কিছুটা প্রাইস এডজাস্টমেন্ট হয়ে থাকে। এটি অত্যান্ত স্বাভাবিক। খুব শিগগির বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে বলে ইঙ্গিত করেছেন শীর্ষ এই ব্রোকার প্রতিনিধিরা।

তবে আগামীদিনে বাজারের সার্বিক স্বার্থে উপস্থিতি প্রতিনিধিগণ কিছু দাবী তুলেছেন, যা বাস্তবায়নের ফলে বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং বাজার দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল ও টেকসই হবে।

প্রতিনিধিদের আলোচনা ও মতামতের উপর ভিত্তি করে ডিবিএর সিদ্ধান্ত ও দাবীগুলো হলো-

১/শেয়ারের দরে পূনরায় ফ্লোর আরোপ করা হতে পারে বলে বাজারে যে গুজবটি রয়েছে, তা শতভাগ গুজব, মিথ্যা, ভিত্তিহীন। ফ্লোর প্রাইসের পূনরাবৃত্তি ঘটবে বলে ডিবিএ আদৌ মনে করেনা।

২/ বর্তমান মর্জিন বিধিমালা-১৯৯৯ এর যুগোপযোগী সংস্কার প্রয়োজন।

৩/ ভাল কোম্পানির আইপিও বাজারে তালিকাভূ্ক্ত করতে হবে। কোম্পানি তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধানের সঠিক পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

৪/ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে মিউচুয়াল ফান্ডের উপর জোর দিতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

৫/ কোম্পানির ক্যাটাগরি ডিভিডেন্ডের উপর না করে উহার ক্যাপিটাল সাইজের উপর করাই যৌক্তিক।

৬/ সাধারন শেয়ারহোল্ডার, স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার কিংবা অন্য কোন শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়ে ভিন্ন কোন উপায়ে কোন কোম্পানির শেয়ার বৃদ্ধি করা উচিৎ নয়। এটি বন্ধ করা দরকার।

৭/ দ্বৈত করের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তা সমাধান করতে হবে।