কার হাতে উঠছে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি?

বিশ বছর পর আবার এই দু’দলের ফাইনাল। জোহানেসবার্গে হারা সেই ফাইনালের প্রতিশোধ নিতে ভারত তেতে আছে। প্রতিপক্ষ যখন অস্ট্রেলিয়া তখন প্রশ্ন একটাই, প্রতিশোধের আগুন জ্বলবে তো! নাকি আরেকটি ২০০৩-এর হতাশা? আহমেদাবাদের এক লাখ ৩২ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে দিয়ে হাসতে চান প্যাট কামিন্স।

সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে এসে কামিন্স জানিয়ে গেলেন, ‘দর্শকদের চ্যালেঞ্জ আলিঙ্গন করে নিতেই হবে। ভীষণ রকমের একতরফা সমর্থন থাকবে। বিশাল সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার আনন্দ আর কিছুতেই নেই। আমাদের সেই লক্ষ্যই থাকবে। দিনটি আমরা কোনো আক্ষেপ না রেখেই শেষ করতে চাই।’

অনুশীলনের আগে প্যারা রাখতে চাননি, তাই আগে ভাগেই নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে গেছেন কামিন্স। এর পরই দুই অধিনায়ক যান গান্ধীনগরের দুই হাজার বছর পুরোনো আদালাজ স্টেপওয়েল বা রুদাবাই স্টেপওয়েলে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে থাকা এই ভবনের সামনেই হলো ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন।

অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ মিশন হলে, ভারতের লড়াই হবে তৃতীয়বার জিতে ব্যবধান কমানের। ক্লাইভ লয়েড থেকে শুরু করে ইয়ান মরগান-সব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ফাইনালে। একমাত্র পাকিস্তানের ইমরান খান আমন্ত্রণের সেই চিঠি পেয়েছেন কিনা জানা গেল না। তবে জেলে থেকেও মনে হয় সংবাদটা শুনেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া রয়েছেন আরও অনেকে।

বিশ বছর আগে সেই ফাইনালে রিকি পন্টিংয়ের কাছে যখন হেরেছে সৌরভ গাঙ্গুলীর ভারত, রোহিত শর্মার বয়স তখন ১৭! তখনকার সবকিছুই ভালো মনে আছে তার। ফাইনালের আগেরদিনও ঐচ্ছিক অনুশীলনে মাঠে এলেন ভারতের মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন। মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর রোহিত শর্মাকে বার্তা দিয়েছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।

জানিয়েছেন, ফাইনালের কাজটা মোটেও সহজ হবে না। সেভাবেই এগোতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে রোহিত জানালেন, ‘টানা আট জয়ে ফাইনালে ওঠা অস্ট্রেলিয়াও জানে কিভাবে বড় মঞ্চে খেলতে হয়। আমরা যেভাবে নিজেদের কাজটা করেছি, সেভাবেই শেষ ম্যাচেও পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে চাই। আর মাত্র একটি ম্যাচ। বাইরে কী হচ্ছে, কেমন পরিবেশ, সবই বাইরে রেখেই মাঠে নামব।’