বন্ড ও ডিবেঞ্চার শেয়ারবাজারের এক্সপোজারের বাইরে

এক্সপোজারের বাইরে

এখন থেকে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ইসলামিক শরীয়াহভিত্তিক সুকুকে যত খুশি তত বিনিয়োগ করা যাবে। এসব বিনিয়োগ ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট (পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা) গণনা করা হবে না।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট, ২০২৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত আগের নির্দেশনায় সকল প্রকার শেয়ার, ডিবেঞ্চার, কর্পোরেট বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট এবং পুঁজিবাজারের অন্যান্য পণ্যে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটের মধ্যে ছিলো। তবে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৬ক ধারায় ২০২৩ সালের সংশোধনী অনুসারে, ব্যাংকের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক সুকুক নির্ধারিত বিনিয়োগসীমার (এক্সপোজার লিমিট) অন্তর্ভুক্ত হবে না।

এতে আরও বলা হয়, এজন্য পুঁজিবাজার বিনিয়োগের বিবরণীর ছক সংশোধন করা হয়েছে। একক এবং একীভূত উভয় ভিত্তিতে সংশোধিত ছক অনুসর করে আগের মতো যথানিয়মে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণী দাখিল করতে হবে।

আইন অনুসারে, একটি ব্যাংক তার রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। ধরা যাক, এবিসি ব্যাংকের রেগুলেটরি মূলধন ১০০ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকটি সর্বোচ্চ ২৫ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে।

বন্ড, ডিবেঞ্চার ও সুকুক এক্সপোজারের বাইরে থাকায় শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে ব্যাংকের সুযোগ বাড়বে। ধরা যাক, এবিসি ব্যাংকের ১৫ কোটি টাকা শেয়ারে, ৩ কোটি টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে ২ কোটি টাকা ডিবেঞ্চারে, ৩ কোটি টাকা বন্ডে এবং ২ কোটি টাকা সুকুকে বিনিয়োগ করেছে। আগের নিয়ম অনুসারে পুরোটাই এক্সপোজারের অন্তর্ভূক্ত হতো। ফলে ব্যাংকটি শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনার জন্য আর কোনো বিনিয়োগ করতে পারতো না। কিন্তু নতুন নির্দেশনার ফলে, ডিবেঞ্চার, বন্ড ও সুকুক এক্সপোজারের বাইরে থাকায় এসব খাতে করা ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ আর এক্সপোজারে আসবে না। তাতে ব্যাংকটি ওই ৫ কোটি টাকা শেয়ারে বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে।