প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুই পেল না পুঁজিবাজারে

সর্বনিম্ন লেনদেন

‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ কিছু থাকছে না। আজ বৃহস্পতিবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেখানে কোম্পানিগুলোর করপোরেট করসহ অন্যান্য নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আগের অর্থবছরে কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে, এমন কোম্পানিগুলোকে আড়াই শতাংশ ছাড় দিয়ে মুনাফার ২০ শতাংশ কর হিসাবে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। আগামী বছরেও তা-ই থাকছে। তবে শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে কর দিতে হবে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহারও অপরিবর্তিত রয়েছে। পূর্বের মতোই এসব কোম্পানিকে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কর দিতে হবে। মার্চেন্ট ব্যাংকের করহারও ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ রাখা হয়েছে। যেসব ব্যাংক ও বিমা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, তাদের আগের মতোই ৪০ শতাংশ কর দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন অংশীজনেরা। সে ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করহার বাড়ানোর সুপারিশই বেশি ছিল। তবে সেসব কোম্পানির করহারও আগের মতোই ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থাকছে।

আবার সিগারেট, বিড়ি ও তামাক পণ্য বাজারজাত করে এমন কোম্পানির করহার আগের মতোই ৪৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ হবে সারচার্জ হিসেবে। বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোম্পানির সব প্রাপ্তি ও আয় ব্যাংকের মাধ্যমে গৃহীত হবে। আবার ৫ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয় ও বিনিয়োগ হলে লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হতে হবে। সূত্র: আজকের প্রত্রিকা